নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিলে বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন মহল এ নিয়ে হাসাহাসি করে ছিলো। আজ ২০২১ সাল এখন তারা কোথায়? তাদের মুখে কুলুপ এটে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আজ ডিজিটাল করেছে। শনিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইসিটি উদ্যোক্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা ও ইনফো-সরকার (৩য় পর্যায়) প্রকল্পে নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের কানেক্টিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এমপি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ, দক্ষ ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনা আমাদের সেই স্বপ্নের দাঁড়প্রান্তে নিয়ে এসেছেন। তিনি কোনো ষড়যন্ত্রকে ভয় করেন না। তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন না। জীবনকে হাতের মুঠোয় রেখে দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌছে দিচ্ছেন। আমরা স্বপ্নেও জিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতাম না। শেখ হাসিনা তা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
একই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, ১২ বছরে উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন তা বলা বাহুল্য। বঙ্গবন্ধুর কন্যার উন্নয়নের ফলে গ্রাম আর শহরের মধ্যে এখন আর পার্থক্য খুজে পাওয়া যায় না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনা তার দূরদর্শিতায় ১২ বছরের মধ্যে দেশটাকে বিশ্বের দরবারে উচুঁ স্থানে পৌছে দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে জ্ঞানচর্চার জন্য স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের ৮ হাজার ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব পৌছে দিয়েছে সরকার। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। নবাবগঞ্জ উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন ২০২৩ সালে তা দৃশ্যমান হবে ইনশাল্লাহ। এ সময় মন্ত্রী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগসহ শুনেন এবং তা সমাধানেরও আশ্বাস দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপজেলার টিকরপুর এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার ও চানলাই এলাকায় হাইটেক পার্কের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন।
পরে বিকেলে সালমান এফ রহমান যন্ত্রাইল ইউনিয়নে স্থাপিত টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ভিত্তিপ্রস্তর, নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন এবং দোহার উপজেলা পরিষদের ডরমিটরি উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া পরিষদের সভা কক্ষে নবাবগঞ্জ ও দোহারের বর্জ্য ব্যবস্থপনা নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্তি সচিব) বিকর্ণ কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব আজিজুল ইসলাম, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ প্রমুখ।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফিরোজ মাহমুদ, সহকারী কমিশনার ভুমি ফজলে রাব্বি, নবাবগঞ্জের অরুণ কৃষ্ণ পাল, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কিসমত, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের সচিব আব্দুর রব, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আওলাদ হোসেন, ড. মো. সাফিল উদ্দিন মিয়া, দোহার সার্কেল এ এসপি জহিরুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ, দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, মহিলা লীগ নেত্রী আনার কলি পুতুল, লাবন্য ভূঁইয়া প্রমুখ।