মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ইউপি সদস্য ফারুক মেম্বার ও কামিজউদ্দিন কামু বাহিনীর দলবল অতর্কিত হামলা করে বালুচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হোসেনের বাড়িঘরসহ অন্যান্য আরও ১৫ টি বাড়িঘর ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। বালুচর ইউনিয়নের চর পানিয়া নামাপাড়া এলাকায় গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এতে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াদ হোসেনর ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটসহ শিরি মিয়া, মজিবর মিয়া, মো. শহিদুল্লাহ, নূর ইসলাম, মো. জামাল, ফারুক মিয়া, মোহন মিয়া, সফুরা বেগম, শাদাত মিয়া ও শিউলি বেগম, আওলাদ হোসেন, হাবিউল্লাহ ও রবিউল্লাহ সহ তাদের মোট ১৫ টি বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করেন। এবং একাধিক মহিলা ও পুরুষ আহত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে বলে জানান, সিরাজদিখান থানার এস আই মাহমুদুল হাসান।
সরকার হাউজিং প্রকল্পের বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ইতোপূর্বে কয়েক দফা মারামারি বাড়িঘর ভাঙচুরসহ একাধিক ব্যক্তি আহত এবং একজন মার্ডারের ঘটনায় উভয়পক্ষে প্রায় শতাধিক মামলাসহ একাধিক নেতাকর্মী জেল হাজতেও ছিলেন, দুই পক্ষের মামলায় চর পানিয়া এলাকাসহ বালুচর ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড প্রায় পুরুষশূন্য। সেই সূত্রধরে কয়েকদিন পর পর ফারুক মেম্বার ও সদ্য জেল থেকে জামিনে আসা কামিজুদ্দিন কামু এবং সরকার সিটির এম ডি খোরশেদ ও মৃত হুকুম আলী মেম্বারের ছেলে মো. সালাউদ্দিনের উসকানিতে প্রায় ১৫ টি ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, একজন মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হলো একটি ঘড় বাড়ি যারা সেগুলতে হামলা চালায় ভাঙচুর করে তারা যাই হোক তাদের বিচার হওয়া জরুরি।
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, ভাংচুরের ঘটনা শুনে যথাসময়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।