দেশের প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় নিয়ম ভেঙে বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে এক ভাইকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে ভাইদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কোটে মামলা দায়ের করেন । ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া এলাকায়।
মামলার নথি ও ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার লটাখোলায় সাবেক নবাবগঞ্জ, হালে দোহার থানার জয়পাড়া মৌজায় খতিয়ান নং সিএস ৬৯৭, এস এ ৬১২, আরএস ৬৩৫, দাগ সিএস ও এসএ ৪৬০, আর এস দাগ নং ৬৪০, জমির শ্রেণি-বাড়ী পরিমান ০.৮৯ শতাংশ এর কাতে নালিশী সম্পত্তি ০.২২২৫ শতাংশ এর কাতে বাদী পক্ষের প্রাপ্য অংশ ৫.৫৬২৫ শতাংশ যাহার নালিশী দাগের ১ (ষোল) আনায় ০.৮৯ শতাংশের চৌহুদ্দিঃ উত্তরে- মোহাম্মদ আলী (মাইনদ্দিন) গং, দক্ষিনে-সরকারী পাকা রাস্তা, পূর্বে- লোকমান গং, পশ্চিমে- সরকারী পাকা রাস্তা এবং নালিশী ০.২২২৫ শতাংশের চৌহুদ্দি উত্তরে- মোহাম্মদ আলী (মাইনুদ্দিন) গং, দক্ষিণে আলী (মাইনদ্দিন) গং, দক্ষিনে- সরকারী পাকা রাস্তা, পূর্বে- দুলাল গং, পশ্চিমে- সরকারী পাকা রাস্তা, যার সিএস খতিয়ানে মালিক যথাক্রমে ভগবান চন্দ্র বেহারা এবং চন্দ্র মোহন বেহারা, উক্ত জমিতে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায়, তারা অত্র জমিটি চেক দাখিলা ও পাট্টা মূলে গুঞ্জর আলী, আদব আলী, নেধু বেপারী এবং মলাই কারিগর বরাবর বন্দোবস্ত প্রদান করে চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।
পরবর্তীতে মলাই কারিগরের সম্পত্তিতে এক স্ত্রী আছিয়া বেগম এবং দুই কন্যা ধনবরু বিবি ও রাবেয়া বেগম এবং তিন পুত্র কুলফত আলী, তারাজদ্দিন ওরফে মুকছেদ আলী ও ফালু কারিগর ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। কিন্তু তারাজদ্দিন উরফে মুকছেদ আলী তৎকালীন কাজের উদ্দেশ্যে অন্যত্র বসবাস করা শুরু করেন এবং তিনি তার বাবার সম্পত্তি অদ্যবধি কারো নিকট হেবা বা বিক্রি করেন নাই ফলে তার ত্যাজ্যবিত্ত সম্পত্তিতে তার চার পুত্র মো: কাশেম আলী, মো: হাসেম, মো: ইমান, মো: মমিন আলী ও এক কন্যা শেফালী বেগম এবং স্ত্রী শোভা বেগম ওয়ারিশ বিদ্যমান হয়।
সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে, তারাজদ্দিনের কন্যা শেফালী বেগম স্বামী গিয়াসউদ্দিন বেপারী এই বিষয়ে মৃত পিতা তারাজউদ্দিন উরফে মুকছেদ আলীর ওয়ারিশ হিসেবে এবং তার পিতার অন্যান্য ওয়ারিশদের পক্ষে অভিযোগ করে বলেন, “আমার চাচারা পিতার ওয়ারিশান সম্পত্তি থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি, আমরা মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করেছি যার দেওয়ানী মামলা নাম্বার-৫৫২/২০১৩। বিগত ৩/০৩/২০১৩ সালে আমি ভাগ করতে চেয়েছিলাম / বাটোরা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা ভাগ করে দেয়নি তাদের হয়রানির শিকারের কারণে আমি বাধ্য হয়ে মামলা করেছি ২৫/০৪/২০১৩ সালে, এখন বর্তমানে আমার মামলার নাম্বার হচ্ছে ৩৪/২০২২।
এবিষয় তারাজদ্দিনের কন্যা শেফালী বেগম জানান, আমার পিতা তারাজউদ্দিন উরফে মুকছেদ আলী সম্পদ রেখে যান। তার ভাইয়েরা সব সময় প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন তাদের সম্পদের ভাগ বুঝিয়ে দেওয়ার। তবে এখন সম্পত্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিভিন্ন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে তাদের বঞ্চিত করে।
এই বিষয়ে দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: তাশফিক সিবগাত উল্লাহ বলেন, যেহেতু ব্যাপারটি মহামান্য আদালতে দেওয়ানী মামলা আকারে আছে, সুতরাং বিষয়টি নিষ্পত্তি করা আদালতের এখতিয়ার। তবে ওয়ারিশান সম্পত্তি থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। বাদি পক্ষের দাবি সত্য হলে তারা জমিতে তাদের অংশ যেনো বুঝে পায় এই বিষয়ে আমরা আইন অনুযায়ী সহযোহিতা করতে প্রস্তুত।