স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিলের ফুটবল তীর্থ মারাকানায় কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই লাতিন পরাশক্তি। আগামী ১১ জুলাই দেশের জার্সিতে ফাইনালের মঞ্চে প্রথমবারের মতো দেখা হবে দুই লাতিন জাদুকর মেসি ও নেইমারের।
জাতীয় দলের হয়ে শিরোপার হাহাকার ঘোচাতে আর একটি জয় দরকার মেসির।
ওদিকে ১৪ বছর পর কোপায় মেসিদের বিপক্ষে পেয়ে উচ্ছ্বসিত নেইমার। নীল-সাদা রঙের ওপর কর্তৃত্ব চায় হলুদ-সবুজ’রা।
আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক মার্টিনেজের বীরত্ব দেখে বিস্মিত ও মুগ্ধ তারাও। সেলেকাওরা বুঝতেই পারছেন, শুধু গোলমুখ বরাবর শট নিয়ে নিলেও হবে না। তা হতে হবে নিখুঁত ও দুর্দান্ত গতির। আর্জেন্টিনাকে হারাতে ফরোয়ার্ড ও মিডফিল্ডারদের সেরাটা দিয়েই খেলতে হবে। কিন্তু ফরোয়ার্ডে শক্তি বাড়াবে কী উল্টো বড় ধাক্কা খেল ব্রাজিল। দুঃসংবাদ শুনলেন কোচ তিতে।
টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেভারিটদের নিয়মিত একাদশের খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে ফাইনালেও পাবে না ব্রাজিল। চিলির বিপক্ষে ম্যাচে এক ফাউলের অপরাধে পুরো কোপা আমেরিকা থেকেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন জেসুস।
কোপার আয়োজক সংস্থা কনমেবলের ডিসিপ্লিনারি কমিটি, কোয়ার্টার ফাইনালে লাল কার্ড দেখা জেসুসকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যে কারণে পেরুর বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলা হয়নি তার। এবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচেও মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।
জানা গেছে, শুধু দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাই নয়, পাশাপাশি ৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকার বেশি) জরিমানাও করা হয়েছে জেসুসকে।
এবারের কোপায় কোনো গোল না পেলেও মাঠে দুর্দান্ত ছিলেন ম্যানচেষ্টার সিসির এই স্ট্রাইকার।
ফাইনালে তার অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও ভোগাবে নেইমার-কাসেমিরোদের। তাই জেসুসকে হারিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় পড়তেই পারেন কোচ তিতে। জেসুসের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে সেলেকাওদের জন্য দুঃসংবাদই বটে।
কোয়ার্টার-ফাইনালে চিলিকে ১-০ গোলে হারারোর ম্যাচে ৪৯তম মিনিটে ফুটবলের মাঠে যেন রেসলিং খেলেন জেসুস। দৌড়ে গিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে চিলির লেফটব্যাক ইউজেনিও মেনার মুখে উড়ন্ত লাথি মারেন তিনি। বুটের লাথি খেয়ে আহত হন ইউজেনি।
সেদিন সরাসরি লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে জেসুসকে বের করে দেন আর্জেন্টাইন রেফারি পাত্রিসিও লোসতাও।