নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকার নবাবগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দেয়ার জের ধরে গর্ভবতী নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বড় বাহ্রা পশ্চিমপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, বড় বাহ্রা পশ্চিমপাড় গ্রামের মোতালেব পত্তনদার (৭০), তার স্ত্রী শাহিমা বেগম (৬০) ও নয় মাসের গর্ভবতী ছোট পুত্রবধূ সানজিদা আক্তার (২১)।
মোতালেব পত্তনদারের মেয়ে আফিয়া আক্তার পূর্নিমা অভিযোগে জানান, বাড়ির পশ্চিমপাশের জমি নিয়ে শেখ সেন্টু (৪৪) গংদের সাথে বিরোধ ছিল। বুধবার সকালে শেখ সেন্টু গংরা জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে আসলে আমরা বাঁধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ সেন্টুসহ শহীদুল ইসলাম (২৩), মুরছালিন শেখ (১৯), নুরু পত্তনদার (৪০), রাকিব পত্তনদার (৪৪), মো. মফজেল (৪০), আতাউর রহমান (৪৫), মো. জুয়েল (৩৮) মিলে ধারালো অস্ত্র, ইট, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে।
তিনি আরও জানান, তারা আমার বাবা মোতালেব পত্তনদার (৭০), মা শাহিমা বেগম (৬০) ও নয় মাসের গর্ভবতী ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সানজিদা আক্তার (২১) কে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যায়। তাদের গুরুত্বর আহত অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের ঢাকায় রেফার্ড করেন।
এবিষয়ে শেখ সেন্টু মুঠোফোনে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসিত ছিল। তাই সেখানে সীমানা প্রাচীর তুলতে গিয়েছিলাম। তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা তাদের মারধর করিনি। তারাই আমাদের মারধর করেছে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।