ডেস্ক রিপোর্ট:করোনা সংক্রমণে থমকে গেছে বিশ্ব শ্রমবাজার। যার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। চাকরি হারানোসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন প্রায় চার লাখ কর্মী। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিগগিরই বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুখবর মিলবে না। এমন অনিশ্চয়তায় রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ও মানবপাচার বেড়ে যাওয়ার শংকা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, প্রবাসীকল্যাণ সচিব মনে করেন রেমিটেন্সে ধস নামবে না।
ছুটি কাটাতে দেশে আসায় করোনার কারণে কর্মস্থল মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারেননি সাভারের জসিম উদ্দিন। অপরদিকে, মহামারির কারণে চাকরি হারিয়ে লেবানন থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হন প্রবাসীকর্মী আসমা খাতুন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত আসমার মতো প্রায় সাড়ে তিন লাখ কর্মী দেশে ফিরেছেন। এছাড়া ছুটি কাটাতে দেশে এসে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি প্রায় দেড় লাখ প্রবাসী। আরও এক লাখের বেশী কর্মী ভিসা প্রক্রিয়া শেষে বিদেশে যাওয়ার অপেক্ষায়। যাদের দিন কাটছে নানা অনিশ্চয়তায়।
ছুটিতে দেশে আসা কয়েকজন জানান, করোনার আগে দেশে আসি। তিনমান মাস পর এর প্রভাবটা ভালভাবে বুঝতে পারি। এখন বাসা ভাড়া আটকে গেছে। মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে চলছি।
করোনায় থমকে যাওয়া সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, জর্ডান, ওমানসহ বাংলাদেশের নির্ভরশীল শ্রমবাজারগুলোতে কোন সুখবর নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহে ক্রমেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন ফোরামে চেয়ারম্যান বলেন, আমরা জানি না কতদিন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। এটা চলতে থাকলে আমাদের রেমিটেন্স প্রবাহে ক্রমেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বেঅন্যদিকে বেকারত্বের চাপে প্রবাসে চাকরির লোভে মানবপাচারকারীদের পাল্লায় পড়ার আশংকা প্রবাসীদের।
তবে, করোনা সংকটেও নতুন বাজারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন প্রবাসীকল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, ক্রোয়েশিয়া ও উজবেকিস্তান মতো কিছু দেশে প্রবাসীরা যেতে পারবেন। তবে, সে সংখ্যাটা লাখ লাখ হবে না।দেশে ফেরা কর্মীদের দক্ষতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও বলেন তিনি।