বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলেই বেড়ে যায় জাতীয় পতাকার বেচাকেনা। মাস জুড়ে লাল-সবুজের নিশান শোভা পায় বাড়ির ছাদ, রিকশা আর ছোটবড় সব যানবাহনে। ছোট্ট শিশুরা কাগজের পতাকা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে কাগজ ও কাপড়ের পতাকা দিয়ে সাজানো হয় এলাকার রাস্তাঘাট।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে অলিগলিতে মৌসুমি পতাকা বিক্রেতাদের দেখা মেলে।৬ ফুট থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাপের কাপড়ের পতাকার পাশাপাশি কাগজ দিয়ে তৈরি পতাকারও বেচাকেনা হচ্ছে বেশ। বিক্রেতারা জানান, পতাকার পাশাপাশি লাল-সবুজ রঙের কাগজের ক্যাপ, রাবারের ব্যান্ড, ব্রেসলেট ও বুকে লাগানো ব্যাজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
৬ ফুট আকৃতির কাপড়ের পতাকা ২০০ টাকা, ৫ ফুটের পতাকা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাগজের ১০০ পিস পতাকার বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ব্রেসলেট ২০ টাকা আর মাথা বন্ধনী বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
পতাকা বিক্রেতা সজল ‘প্রতিদিন দেড় থেকে তিন হাজার টাকার পতাকা বিক্রি করি। এতে থেকে ৪ থেকে ৫ শ টাকা লাভ থাকে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও ডিসেম্বরে পতাকা বিক্রি হয়।
বছর জুড়ে ফলের ব্যবসা করেন তরুণ সজল। আর ডিসেম্বর এলেই পতাকা বিক্রিতে নামেন তিনি।
সজল বলেন, ফলের চেয়ে পতাকা বিক্রিতে লাভ বেশি, ‘পরিশ্রম কম। একেকবারে চকবাজার থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মাল কিনে পুরো ডিসেম্বর জুড়ে বিক্রি করি। তবে ১৬ ডিসেম্বর বিক্রি বেশি হয়।’
শ্রমজীবী এই তরুণের কাছে ১৬ ডিসেম্বর কেবলই একটি দিন, যেদিন তার ব্যবসা একটু ভালো হয়।মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মসজিদের সামনে পতাকা বিক্রি করছিলেন নুর উদ্দিন। একটি বাঁশে বাহারি পতাকা নিয়ে মৌসুমি এই বিক্রেতা সারাদিন বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে বেড়ান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসেই পতাকা বিক্রি শুরু করি। এই এক মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয়।’ছোট শিশুরা কাগজের পতাকা বেশি কেনে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে গাড়ির জন্য কাপড়ের পতাকা নেয়। বাসার ছাদে টানানোর জন্য নেয়।। মোটরসাইকেলের প্লাস্টিকের পতাকা লাগায়।’