অনলাইন ডেস্ক: আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শ্রীলেখা মিত্র। এবার কোনও অভিনয়, বিতর্কিত বক্তব্য বা নিছক নিজেকে নিয়ে রসিকতার জন্য নয়। বরাহনগরে রবিবার সিপিএমের পক্ষ থেকে একটি ফ্রি কোচিং ক্লাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী।
তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, শ্রীলেখা এবার রাজনীতিতেও? প্রশ্ন শুনেই হাসি। তার পরেই পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘মনে হচ্ছে তাই? তা হলে তাই-ই…।’’ এর পরেই অবশ্য আনন্দবাজারকে শ্রীলেখা বললেন, ‘‘আমি কট্টর বামপন্থী। আজ নয়, বরাবরই। সে কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে সৌরভ পালধির একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর। বাম নেতারাও জানেন আমার সমর্থন রয়েছে তাদের প্রতি।’’
অনেকেই যখন হয় শাসক দল নয় প্রধান বিরোধী দলে নাম লেখাচ্ছেন সেখানে শ্রীলেখা কি উল্টো হাওয়ার পন্থী? তার অকপট উত্তর: ‘‘হঠাৎ করে সবুজ বা গেরুয়া রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু লাল পতাকাকে সমর্থন করতে গেলে সেটা হঠাৎ করে হয় না। তার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন। কারণ, এই একটি রাজনৈতিক দল ভীষণ শিক্ষিত।’’
যুগের পরিবর্তনে শিক্ষার ধরন বা মানও যে বদলেছে, সে কথা স্পষ্ট বরাহনগরে শ্রীলেখার ভাষণে, ‘‘নয়ের দশকে মোবাইল ছিল না, কিন্তু ‘চিত্রহার’ ছিল।লোডশেডিং ছিল। লোডশেডিংয়ে ছাদে মাদুর পেতে পড়াশোনা ছিল যা এই প্রজন্ম ভাবতেই পারে না। কারণ, তারা স্মার্ট, স্মার্টফোনের দৌলতে। যা বুদ্ধি, চিন্তাশক্তি ক্রমশ ভোঁতা করে দিচ্ছে। আমরা কিন্তু তখন স্বাধীন ভাবে অনেক কিছুই ভাবতাম। আমরাই আসলে বেশি স্মার্ট ছিলাম।’’
কিন্তু বামপন্থী দলগুলির প্রতিপত্তি যে তলানিতে! এক কথায় তা নাকচ করে দিলেন অভিনেত্রী, ‘‘একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, লাল পতাকা কিন্তু আবার জাগছে। অনেক জায়গায় শ্রমজীবী ক্যান্টিন হয়েছে। করোনাকালে সস্তায় বাজার বসিয়েছে এই দল। রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে।’