ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ও আমাদের সময়ের দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তরকে কুপিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনার প্রায় ১৫/১৬ ঘন্টার মধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম। আটককৃতরা হলো- নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী এলাকার মামুন সিদ্দা ওরফে বুদুর ছেলে চপল সিদ্দা (২৫), একই এলাকার ওহাব মিয়ার ছেলে সোলাইমান ওরফে শুভ ওরফে বুলু ও অন্যতম আসামি হাসনাবাদ এলাকার তফিল উদ্দিনের ছেলে মো. এখতিয়ার ওরফে আক্তার হোসেন (৪৫)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম জানান, গত শনিবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তর মোটরসাইকেলযোগে দোহার উপজেলার একটি নিউজ প্রোগ্রাম ও ওয়াজ মাহফিলের প্রোগ্রাম শেষে নিজ বাড়ি খানেপুর যাওয়ার পথিমধ্যে ডাকাতবাড়ি রাহুতহাটি নামক সেতুর উপরে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় নাজমুলের বাবা মো. মানিক বেপারী নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিত্বে ঘটনার প্রায় ১৫/১৬ ঘন্টার মধ্যেই আমরা চপল সিদ্দাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে চপল সিদ্দারের তথ্যের ভিত্তিত্বে এঘটনার মাস্টারমাইন্ড মো. এখতিয়ার ওরফে আক্তার হোসেনসহ আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয় ও আসামির কাছ থেকে এ ঘটনার সময় ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দোহার-নবাবগঞ্জ থানায় একাধিক ডাকাতির মামলাসহ মাদক মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আসামিদের কাছ থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক নাজমুলের কাছে মাদকের তথ্য আছে, সে মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারে। এমন তথ্য পেয়ে ভয়ে আসামি মাদক ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক নাজমুলকে শায়েস্তা করার জন্য ও তার মোবাইল ফোনটি নেওয়ার জন্য তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ বিষয়ে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম আরো বলেন, আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।