গ্রেপ্তার নয়ন উদ্দিন ওরফে নয়ন মিয়া (২৬) চালকের সহকারী হিসাবে বিভিন্ন পরিবহনে কাজ করতেন। তার বাড়ি আনোয়ারার বারখাইন এলাকায়। তারা চান্দগাঁও থানার রওশনের কলোনীতে থাকতেন।রোববার নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া জানান।
বলেন, দুই বছর আগে এক সন্তানের জননী এক নারীকে বিয়ে করেন নয়ন মিয়া। কিন্তু শিশুটিকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। এর মধ্যে ছয় মাস তাদের ঘরে আরেক সন্তান আসে।
তাই তিনি সৎ ছেলেকে খুন করে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ফেলে রেখে আসেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে রাজেশ জানান।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ২৭ অক্টোবর নয়ন তার সৎ ছেলে পাঁচ বছরবয়সী সাইমকে খুন করে লাশ রেখে আসে প্রবর্ত্তক মোড়ের মাজারসংলগ্ন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেইটে।
ওই দিন পাঁচলাইশ থানা পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। এই ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয় পাঁচলাইশ থানায়।
এদিকে সন্তানকে না পেয়ে তার মা তানিয়া বেগম বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং নয়নকে সন্দেহ করতে থাকেন। রোববার বহদ্দারহাট এলাকা থেকে নয়নকে আটক করা হয়।এই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় নয়নকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন তানিয়া বেগম।
মামলায় বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর তানিয়া বাসার ছাদে কাপড় শুকাতে গেলে নয়ন সাইমকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। অনেক পরে বাসায় না ফেরায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সাইমকে চকলেট কিনে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে বলে নয়ন জানায়।
তানিয়া বলেন, “প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর নয়নের সাথে তার বিয়ে হয় দুই বছর আগে। বিয়ের পর থেকে নয়ন বিভিন্ন সময়ে তাকে এবং সাইমকে মারধর করত। পাশাপাশি সাইমকে কথায় কথায় সিগারেটের ছেঁকা দিত।”নয়ন বিভিন্ন সময় সাইমকে খুন করবে বলে হুমকি দিত বলেও মামলায় লেখা হয়েছে।