সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মাদরাসা শিক্ষক কর্তৃক ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন ও সাংবাদিকদের মেনেজ করার বিষয়ও অভিযোগ পাওয়া গেছে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন- উপজেলার ধল্লা আল মাহমুদিয়া দারুল এতিমখানা মাদরাসার শিক্ষক খেলাফত মজলিসের নেতা মো.গিয়াসউদ্দিন (৫৫)।
জানা যায়,উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের মধ্য ধল্লা এলাকার জৈনক ব্যক্তির ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা (২০ মার্চ) সকালে পার্শ্ববর্তী ধল্লা আল মাহমুদিয়া দারুল এতিমখানা মাদরাসায় মক্তবে আরবি পড়তে যায়। সুযোগ বুঝে ওই মাদরাসার শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন ঐ ছাত্রীর সাথে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। বিষয়টি ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের জানালে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।
পরে ঘরোয়াভাবে সালিশ হয়। সালিশে ঐ লম্পট শিক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানা গেছে। এ দিকে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা কানা-ঘষা।
অভিযুক্ত মো.গিয়াজ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ১টি বাচ্চা ফোন ধরে,সে বাড়ি নাই বলে সংযোগ কেটে দেন।
ধল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ.জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া শ্লীলতাহানির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- এ ব্যাপারে মেয়ের অভিভাবক আসছিল আমি আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। কোনো মিমাংসার হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ.জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন এ বিষয়ে আমি কোন মিমাংসা করা হয় নাই আর মিমাংসা করার প্রশ্নই আসে না।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আসলাম হোসেন বলেন- এ ঘটনা এলাকায় কেউ মিমাংসা দিতে পারে না। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।