সিংগাইর প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পারিবারিক কলহের জের ধরে যাতায়াতের রাস্তা বাশেঁর বেড়া দিয়ে আটকিয়ে তিন সপ্তাহে ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন-এক দিনমজুর পরিবারকে। এমন অভিযোগ ওঠেছে মোজাহার মন্ডল ওরফে গেদা ও ছিদ্দিক ভেন্ডার গংদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটছে, সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে।
ভুক্তভোগী দিনমজুর আজাহার মন্ডল (৫০) ওই এলাকার মৃত. আরশেদ মন্ডলের ছেলে। প্রতিপক্ষ মৃত. আরশেদ মন্ডলের ছেলে মোজাহার ওরফে গেদা মন্ডল ও ছিদ্দিক ভেন্ডার গং।
ভুক্তভোগী আজাহার মন্ডলের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বলেন- প্রায় এক মাস আগে আমার দেবর মোজাহার ওরফে গেদা গংদের সাথে আমার পরিবারের কলহ বাদে। সেই বিবাদ মিমাংশা না হওয়ায় আমার পায়ে হাটা রাস্তা বন্ধ করে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখছে। আমি গরু, ছাগল ও সাংসারিক কাজসহ চলাফেরায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে প্রভাবশালী ঐ ব্যক্তিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি।
তিনি আরও জানান- ষড়যন্ত্র করে আমাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চলছে। আমি নিরহ, দুর্বল হওয়ায় ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী পরিবারটি পূর্বে ছিদ্দিক ভেন্ডারের জায়গা ও উত্তরের সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের বাড়ির ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ যাতায়াত করে আসছিল। একই শরিকের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে তিন সপ্তাহ ধরে পূর্বে বাশেঁর ও উত্তরে টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় নিরীহ দিনমজুর ওই পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা ও বিচার না পাওয়ায় হতাশ ভুক্তভোগী পরিবারটি।
প্রতিপক্ষ মো. মোজাহার ওরফে গেদা ও ছিদ্দিক ভেন্ডার গংরা বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা ঠিক হয়নি স্বীকার করে বলেন- আজাহার মন্ডলের স্ত্রী একজন ঝগড়াটে মহিলা। সমাজের কেউ ওনাকে ভালো জানে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- আমাদের জায়গা আমরা বেড়া দিয়েছি। আমরা বেড়া খুলব না। পারলে প্রশাসন এসে খুলে দিক।
প্রতিবেশি প্রবাসী মাহাবুব হোসেন খানের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন বলেন- ওদের আমরা খারাপ দেখিনি। শরিকের সাথে বিবাদের কারণে রাস্তায় বেড়া দিয়েছে। এখন আমাদের বাড়ির ওপর দিয়ে ওরা যাতায়াত করে।
জয়মন্টপ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জি. শাহাদৎ হোসেন বলেন- যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা ঠিক হয়নি। এ বিষয় আমি অবগত কিন্তু মিমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন- এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।