সিংগাইর প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ও চান্দহর ইউনিয়নের সংযোগস্থলের বেলকপাড়া সেতুটি ভেঙ্গে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক, ব্রীজের মধ্যস্থল ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতি নিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে ঝুকি। তবুও জীবনের তাগিদে নিরুপায় হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখানে ঢালাই ভেঙে রড বেরিয়ে গেছে। কোনো ধরনের যানবাহনই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেনা। তবে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে দুই বা তিন চাকার যানবাহন ঠেলে পার হতে দেখা যায়। এতে যে কোনো সময় পুরো সেতু ভেঙে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক মাস ধরে সেতুটির এমন দশা। দেখার যেন কেউ নেই।
সেতুটি দিয়ে জামির্ত্তা ও চান্দহর ইউনিয়নের শত শত যানবাহন ও সাধারণ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করতো। এখন দুই ইউনিয়নের প্রায় হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ ও সময়। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা সেতুটি মেরামত না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়াও এবিষয় ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। প্রতিবাদ জানাচ্ছে অনেকেই।
অটোরিকশা চালক লুৎফর হোসেন ও ইমান আলী জানান, জরুরি কাজ থাকায় ঝুঁকি নিয়েই ভাঙ্গা সেতু দিয়ে পার হলাম। চান্দহর বাজার থেকে এই সেতু দিয়ে পার হলে জামির্ত্তা বাজারে পৌঁছাতে সময় লাগে ১০ মিনিট। কিন্তু সেতুটির বিকল্প রাস্তায় গেলে ১০ মিনিটের রাস্তা সময় লাগে আধা ঘন্টা। তাই অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
একাধিক স্থানীয়রা জানান, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে গেছে। এখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলজিইডি কর্তৃৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ উপজেলা সদর ও ঢাকায় যাতায়াত করে থাকে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় অতিরিক্ত ৫ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে স্থানে পৌঁছাতে হয়। অনেকে আবার ঝুঁকি নিয়েই ভাঙ্গা সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল জানান, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রথমে দিকে ভাঙা অংশে স্টিলের সীট দেওয়া হয়েছে। এখন ভাঙা অংশ বড় হওয়ায় আবার যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও একটি স্টিলের সীট দিয়ে যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবো। এছাড়া স্থায়ী সমাধানে জন্য সেতুটি ভেঙে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মাদ রুবাইয়াত জামান জানান, খুব দ্রুত সেতুটি ভেঙে ফেলে পানি নিস্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কাছে একটি রেজুলেশন চাওয়া হয়েছে।