অনলাইন ডেস্কঃ জামালপুরের মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সন্তান হিসেবে চাকরি নেওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। বরখাস্ত হওয়া দুজন হলেন টুপকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসরিন আক্তার ও খেয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাপলা আক্তার।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, নাসরিন আক্তার রবিয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা ও মাদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলমের স্ত্রী। আর আশরাফুলের খালাতো বোন শাপলা। আশরাফুল বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের ছেলে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন। পরবর্তীতে তিনি নাসরিন ও শাপলাকেও সহিদুর রহমানের সন্তান হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়ে দেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়ার পর তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আসে। এরপর বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলে। ১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। এর ভিত্তিতে
২৭ অক্টোবর নাসরিন ও শাপলাকে বরখাস্ত করে শিক্ষা অধিদপ্তর। আর আশরাফুলের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এছাড়া চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে সরকারি বেতন-ভাতা বাবদ নেওয়া সব অর্থ তাঁদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এ–সংক্রান্ত চিঠি ওই দুজনকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক।