নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৬ দিন পর রাকিব নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলার বালুর চর এলাকার একটি পুকুরের কচুরি পানা পরিষ্কার করার সময় রাকিবের লাশ ভেসে উঠে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রাকিব নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক ছিলেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাকিবের মা শাহানা বেগম থানায় জিডি করেন।
পরে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঁধন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামি সুমন পলাতক রয়েছেন। বাঁধন উপজেলার বড় বক্সনগর চৌরাহাটি এলাকার বাসিন্দা এবং সুমন শোল্লা ইউনিয়নের শোল্লা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বুধবার বিকেলে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, গত বুধবার সকাল ৯টায় বাঁধন সরকার ও সুমন উপজেলার বাগমারা এলাকায় মিলিত হয়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা দুজন নিহত রাকিবের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে রাকিবের রিকশা নিয়ে বাগমারা এলাকায় থেকে সিগারেট কিনেন বাঁধন ও সুমন। গাড়ি চালানোর সময় সুমনের পাশের সিটে বসে ছিল বাঁধন। সূরগঞ্জ এলাকায় আসলে গাড়ি থেকে নেমে একটি কোমল পানীয় কিনেন বাঁধন। সেই পানীয়টি প্রথমে বাঁধন ও সুমন পান করেন। পরে রাকিবের অগোচরে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে রাকিবকে পান করতে দেন। রাকিব পানীয়টি পান করলে বক্সনগর ও দোহার বাইপাস রাস্তা বালুর চর এলাকায় আসলে রাকিবকে বাধন ও সুমন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা দুজন মিলে পাশেই একটি সরকারি পুকুরে কচুরি পানার নিচে ডুবিয়ে রাখে।
রাকিবকে হত্যার মূল কারণ জানতে চাইলে ওসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া বাঁধনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বলেছে, ‘আমি রাকিবের অটো রিকশাটি যেভাবেই হোক সুমনকে এনে দিতে পারলে সুমন আমাকে ১০ হাজার টাকা দিবে। তাই আমি ও সুমন মিলে গাড়িটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করি।’