নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি. ঢাকার নবাবগঞ্জে এক সংখ্যালঘু বিধবা নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মো. সাহেদ আলী (৫০) ও বাহার মাতবর (৪০) নামে দুই লম্পটকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে কৈলাইল ইউনিয়নের তেলেঙ্গা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সাহেদ ঐ গ্রামের মৃত শেখ সুলতানের ছেলে ও বাহার খৈমদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ১টায় তেলেঙ্গা ও কৈলাইল গ্রামের খুদু মেম্বারে বাগান সংলগ্ন নির্জন স্থানে সাহেদ আলী ও বাহার মাতবর বিধবা মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে ধর্ষিতার স্বজনরা থানা পুলিশকে অবগত করেন।
জানা যায়, ধর্ষিত মহিলা নদীতে নৌকা পারাপার করে জীবন নির্বাহ করেন। ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কৈলাইল গ্রামের মাতবর আইনুল হোসেন চৌধুরী ও ফতু মাতবর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য শালিসী করে। এসময় মহিলার চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
পরে এলাকার ক্ষুদ্ধ জনতা ঘটনাটি মানতে না পেরে থানা পুলিশকে জানায়। সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার নবাবগঞ্জ থানার ওসি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ধর্ষককে আটক করে।
এ বিষয়ে কৈলাইল ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার বিজয় বাড়ৈ ও কৈলাইল গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল কুমার সিং বলেন, একজন দিনমজুর বিধবা মহিলাকে যে পাশবিক তান্ডব চালিয়েছে তা খুবই দু:খজনক। আমরা এলাকাবাসীর হয়ে তার সুষ্ট বিচার চাই।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, সংবাদ ও অভিযোগের ভিত্তিতে তেলেঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ভূক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম চলছে।