ঢাকার দোহার উপজেলায় রুনা নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ভিসা দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবার মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলার লটাখোলা গ্রামের সবুজের স্ত্রী রুনার বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এমদাদুল বলেন, জীবিকার উদ্দেশ্যে গত ২০২২-২৩ সালে প্রবাসের উদ্দেশ্যে পারি জমাই। কিন্তু আমাদের দুই ভাইয়ের এই বিদেশ যাত্রার রয়েছে করুন এক গল্প। ভিসা দেওয়ার নামে সবুজের স্ত্রী রুনা আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। প্রতারক রুনা ব্রোকার হিসেবে আমাকে সৌদি আরব ও আমার ভাই ওবাইদুলকে সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) পাঠায়। কিন্তু যে কাজের কথা বলে আমাদের দুই ভাইকে পাঠানো হয় তার পরিবর্তে মেথরের মত নিম্ন শ্রেণির কাজ করতে দেওয়া হয় আমাকে। এ বিষয়ে বার বার রুনার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি আমাদের কথার কোনো কর্ণপাত করেনি। ফলে কাজ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে আসি। তিনি আরো বলেন, দেশে এসেও রুনার কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা না পেয়ে উল্টো হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছে আমার পরিবার। এ বিষয়ে আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমার সাথে এই প্রতারণার উপযুক্ত বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর মা হেনা আক্তার বলেন, আমার ছেলেদের সাথে এমন প্রতারণা কেন করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে রুনা আমাকে মারতে আসে। আমাকে রুনা বলে, তুই বেশি বারাবারি করলে তকে জেলের ভাত খাওয়াব। আমরা খুব ভয়ে আছি। আমি রুনাকে ভিসার জন্য ১০ লাখ টাকা দিয়েছি। আমি আমার টাকা ফিরত চাই। রুনা আমার মত অনেকের সাথে এমন প্রতারণা করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুনা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও ভুক্তভোগী। এমদাদুলকে দ্বিতীয় বার সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে আমি পাঠিয়েছি। পরে তার মা আমাকে টাকা পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে একটি চেক দেয়, কিন্তু অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা ছিলো না। পরে আমি মামলা করি। আর তারা এখন এই মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।