অন্যায়, মাদক ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে দোহারের তারুণ্য। “অপরাধমুক্ত দোহার গড়ব” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ শনিবার দোহারে দুই শতাধিক তরুণের অংশগ্রহণে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত তরুণরা সমাজ থেকে অন্যায় ও মাদক নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন। অবৈধ বালুখেকোদের বিরুদ্ধে আপসহীন থাকার ঘোষণা দেন।
প্রোগ্রামে উপস্থিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর জুবায়ের আহমেদ বলেন— ❝তরুণরা দেশের সম্ভাবনা, তাদের টোকাই হিসেবে দেখতে চাই না। তারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করবে, তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে। রাজনৈতিক নিপীড়ন, অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে তারা থাকবে আপসহীন। আমরা দোহারের এই তরুণদেরকে বাংলাদেশের সবচেয়ে শৃঙ্খল ও নীতিবান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য দেখব বলেই আমার বিশ্বাস।❞ একইসাথে তিনি তারুণ্যের ভালো কাজের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত পদ্মা কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক তারেক রাজিব বলেন—❝যেই স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তোমরা দেশ স্বাধীন করেছো, সে আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি, যে বা যাদের কারণে দেশে, স্পেসিফিকলি দোহারে, অপরাধ, মাদক, অন্যায় ছেয়ে গেছে, হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে, তাদের বেলায় নো মার্সি। এইসব অপশক্তিকে যেকোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে। এবং সেই কাজ টা তোমাদের মতো তরুণদের দিয়েই সম্ভব।❞
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা মাসুদুর রাহমান আদনান বলেন— ❝পাওয়ার প্রাক্টিস করে অন্যায়কে একপ্রকার হালাল মনে করছে রাজনৈতিকরা। রাজনৈতিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের চাওয়া খুবই সামান্য, আপনারা আপনাদের রাজনীতি করেন, আমাদের সমর্থণ থাকবে, কিন্তু রাজনীতির আড়ালে যদি অন্যায়, অপরাধ, সিণ্ডিকেট, অবৈধ বালু উত্তোলন, মাদক ব্যাবসা, অন্যের জমি দখল, শালিস করে টাকা আদায় মতো কাজ করেন, তাইলে আপনাদের ওই কুৎসিত কালো হাত আমরা ভেঙে দেবো।❞
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুল জব্বার ও বিএনপি নেতা নূর সালাম। উভয়েই সকল ভালো কাজের সাথে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।।
উক্ত মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন সোহেল বেপারী, আরমান সেতু, রাকিব দেওয়ান, ইমরান বেপারী, আবিদ হজরত,শহিদুল ইসলাম, শেখ রাকিব, শাহাদাত হোসাইন,মিজানুর রহমান
শাফিন আহমেদ,রাসেল হোসেন, তামিম দেওয়ান, সিয়াম, আব্দুল্লাহ, শরিফ হাসান, রিদিম আহমেদ, আলামিন হাসান, সাব্বির আহমেদ, তারিফ হোসাইন, রাহাদ মাহমুদ, তপু গাজী, গাজি রাতিনসহ প্রায় দুই শতাধিক তরুণ।।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে খিচুড়ি ভোজে অংশ নেন এবং একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আলোচনায় উঠে আসে—একটি সংগঠন গড়ে তোলার মাধ্যমে এই উদ্যোগকে সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা।
তরুণদের প্রত্যয়—রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দোহারকে একটি শান্ত, সচেতন ও ন্যায়ভিত্তিক অঞ্চলে পরিণত করা।


নিজস্ব প্রতিবেদক: 























































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































