নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহারের বিভিন্ন হাট বাজারে মুদি দোকান, চায়ের দোকানসহ গ্যাসের দোকানেও যত্রতত্র চলছে জ্বালানি তেল বিক্রি। অনুমোদন ছাড়াই বেশিরভাগ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন। উপজেলার বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখা যায় খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া জ্বালানি তেল লিটারে প্রায় ৪’শ মিলি কম দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এর কারণ জানতে চাইলে তারা দায় চাপিয়ে দিচ্ছে ডিলারদের উপর।
অনুসন্ধানে দেখা যায় তাদের তেল বিক্রির পাত্রটি জয়পাড়া বাজারের ভেতরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে তৈরি করা। এমন এক ব্যবসায়ীকে সেই দোকানে নিয়ে গেলে মালিককে পাওয়া যায়নি। এদিকে জ্বালানি তেল বিক্রির কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা পরিমাণে কম দেয়ার বিষয়টি শিকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে ঠিক করবেন বলে অঙ্গিকার করেন।
মোটরসাইকেলে পেট্রোল নিতে আসা সুমন হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছি। প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি অভিযান পরিচালনা করে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। জয়পাড়া থানার মোড়ে একটি দোকানে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নিতে আসা তানভির নামে এক ক্রেতা বলেন, ভাই এমন প্রতারণা আমরা আগে জানতাম না। এদের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
২০০৩ সালের দাহ্যপদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এ আইন কেউ’ই মানছেন না।
পেট্রোলিয়াম তেল বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। নজরদারি না থাকার কারণে যত্রতত্র চলছে জ্বালানি তেল বিক্রি। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমরা এমন অভিযোগ পেয়েছি। শুধু খুচরা বিক্রেতা ছাড়াও পেট্রোল পাম্পগুলোতেও পরিমাণে কম দিচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে বিএসটিআইকে জানিয়েছি। শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।