মো.কামাল হোসেন : মিনিকক্সবাজার নামে খ্যাত দোহারের মৈনট ঘাটে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীর। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সকাল থেকেই মৈনটঘাটে ভির করছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিতে যানজট ও কোলাহল মুক্ত স্থান হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ পিয়াসী দর্শনার্থীরা এখানে ছুঁটে এসেছেন।
যার ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলা ভূমি মিনি কক্সবাজার এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় উৎসব মুখর অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন থেকেই মিনি কক্সবাজারে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে নিয়মিত পর্যটকদের ভীড় থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ভিন্ন আমেজ দেখা গেছে। ঈদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে মিনি কক্সবাজারকেই বেছে নিয়েছে ব্যাপক দর্শনার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ঘুরতে এসেছে পর্যটকরা।
কেউবা পরিবার পরিজন, আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বিনোদনের জন্য এসেছে। যা পুরো মিনি কক্সবাজার এালাকা সৌন্দর্যময় করে তুলেছে। যেখানে পর্যটকরা স্পিডবোড, নৌকা ভ্রমন, ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমন, কেউবা পদ্মার পানিতে গোসল করেও তৃপ্তি মেটাচ্ছে। আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ছবি তুলেও আনন্দ উপভোগ করছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ, ও চটপটি ও ফোচকা হাউজ। যা ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বিনোদনের পাশাপাশি খাবার খেতে ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের ছাত্র মো. রুবেল জানান, ” মিনি কক্সবাজারে এসে আমার খুব ভালো লাগছে।
এখানকার পরিবেশটা খুব সুন্দর মনে হচ্ছে। ” আরেক দর্শনার্থী জানান, ” মৈনটে ঘুরতে এশে খুব ভালো লাগছে। এখানকার পদ্মার প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে।” সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা দলে দলে আসতে শুরু করেছে। বিকালের দিকে মানুষের ঢল নামে।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই কানায় কানায় ভরে যায় মৈনটঘাট এলাকা। দর্শনার্থীদের চাপ জট সামলাতে দায়িত্বে থাকা মাহমুদপুর পুলিশফারীর সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়। আরেক দর্শনার্থী সানজিদা ইসলাম জানান, “এখানে পরিবারের সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে বেড়ানো খুবই আনন্দের। তিনি আরো বলেন, গতবারের তুলনায় এবার ভীড় বেশী তারপর ভালো লাগছে মুক্ত পরিবেশে সবাইকে নিয়ে সময় কাটাতে। মিনিকক্সবাজার দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠুক এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, এ স্থানে যাতে কোনো প্রকার অঘটন না ঘটে, সেজন্য দোহার থানা পুলিশের পাশাপশি গ্রাম পুলিশের রাখা হয়েছে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করছেন। দোহার থানার পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোবাশ্বের আলম জাগ্রত জনতাকে জানান, পর্যটন সম্ভাবনাময় এ মৈনটঘাট এলাকায় অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। এ এলাকাকে পর্যটন সুবিধার আওতায় আনতে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার দর্শনার্থীর নিরাপত্তায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।