কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার কেরানীগঞ্জে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কেরানীগঞ্জ এর উদ্যোগে উপজেলার হযরতপুর, কলাতিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের মানুষ যাতে প্রতিদিন নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি ও ফলমুল খেতে পারে তার জন্য এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ পদ্ধতিতে বিষাক্ত কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক, ফেরোমন ফাঁদসহ নানাবিধ পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে উৎপাদিত ফসল মানুষের খাদ্য হিসেবে গ্রহণের জন্য সম্পূর্ন নিরাপদ । ২০২০-২১ অর্থবছরে এ কার্যক্রমের আওতায় এ যাবৎ ৭১০ শতাংশ জমিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন এবং ৪৯০ শতাংশ জমিতে ফল বাগান স্থাপন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফসলের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ ফসলের চাহিদা পূরণে এ কার্যক্রম অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শাক্তা ইউনিয়নের উত্তর রামের কান্দা গ্রামের মো. মোস্তফা ৩০ শতাংশ জমিতে লাউ এবং দারিপাড়া গ্রামের হাজী করিম ১০০ শতাংশ জমিতে ধুন্দুল, তারানগর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামের আব্দুল জব্বার ৩০ শতাংশ জমিতে পেঁপে এবং উত্তর বাহেরচর গ্রামের সওকত আলী ১০০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি, কলাতিয়া ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মোঃ কাঞ্চন মিয়া ৩০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি এবং মিঠাপুর গ্রামের জনাব আব্বাস আলী ১০০ শতাংশ জমিতে লাউ আবাদসহ সর্বমোট প্রায় ২১ জন কৃষক কৃষানীকে এ কার্যক্রমে সরাসরি অন্তর্ভূক্ত করেন এবং এ যাবৎ সর্বমোট ৩৩০ জন কৃষক কৃষানীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
শাক্তা ইউনিয়নের উত্তর রামের কান্দা গ্রামের মো. মোস্তফা জানান, গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে লাউ উৎপাদনে খরচ হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা এবং খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। এ বছর একই জমিতে খরচ হয়েছিল ১৮ হাজার টাকা এবং খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। ফলে এ বছর ১৬ হাজার টাকা বেশী লাভ হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, এ প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার হয়না বলে একদিকে খাদ্য হিসেবে এ সবজি যেমন সম্পূর্ন নিরাপদ অন্যদিকে এর উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারমূল্য বেশী বলে কৃষক আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হচ্ছে।