ডেস্ক রিপোর্ট:‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সারাদেশে পালিত হচ্ছে অভিবাসী দিবস। এতোদিন শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবেই পালিত হয়ে আসছিল দিনটি। চলতি মাসের ৭ ডিসেম্বর এই দিনটিকে ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী অভিবাসীসহ দেশে-বিদেশে অভিবাসীদের কল্যাণে ব্যাপৃত সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।অভিবাসী কর্মীরা কোথাও যেন হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে করোনা মহামারি পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অভিবাসী কর্মীরা মহামারির মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির বিস্তার শুরু হবার পর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া অভিবাসীদের দেশে প্রত্যাগমন, অভিবাসী কর্মীদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তাসহ তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলেছে, ১৭৩টি দেশে এক কোটি ২০ লাখ অভিবাসী কাজ করছেন। তারা এরইমধ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে, কোভিড-১৯ এর কারণে দেশে প্রত্যাগত অভিবাসীকর্মী ও তাদের পরিবারকে সহজশর্তে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান এবং তাদের জন্য রিইন্টিগ্রেশন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে তা থেকে ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।