সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গলায় রশি পেঁচানো লিটন (৩০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার জামশা ইউনিয়নের গোলাইডাঙ্গা-বাস্তা সড়কের চকের মাঝখানে ব্রীজের নিজ থেকে তাকে উদ্ধার করেন। নিহত লিটন ঐ এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের বড় ভাই সুরুজ জানান- ২ সপ্তাহ আগে পার্শ্ববর্তী গিয়াসউদ্দিন ওরফে গজিমদ্দিনে বাড়ি শরিষা ভাঙ্গাতে গেলে আমার সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। পরে স্থানীয় মরুব্বীরা গত ২৫ নভেম্বর মিমাংশা দেয়ার জন্য শালিসি বৈঠকে বসে। শালিশি বৈঠকের ভিতর গজিমদ্দিন গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছোট ভাই লিটন ও আমাকে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমরা দুই ভাই চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে আমার ভাই লিটন নিখোঁজ। আমরা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। হঠাৎ শুক্রবার সকালে ব্রীজের নীচে লাশের খবর পেয়ে আমার ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করি। শক্রতার জেড়ে প্রতিপক্ষ গজিমউদ্দিন গংরা আমার ভাইকে হত্যা করে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফেলে রেখে গেছে বলে দাবি তার।
সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা বলেন- গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।