সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : ফৌজদারী মামলা, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ ও শেল্টারদাতার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করার পরেও নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে বন্দোবস্ত নেয়া খালের জমিতে প্রকাশ্যে নির্মাণ করা হলো পাকা ভবন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও রয়েছে নিশ্চুপ। সিংগাইর উপজেলার রামনগর বাজার সংলগ্ন মুন্সিনগর মৌজায় এমন কান্ডে এলাকাবাসীর সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রশাসন।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর দায়িত্বশীলরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ সাময়িক বন্ধ করলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। ভবন মালিক ঠিকই তার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। তবে প্রশাসন বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও অজ্ঞাত কারণে নেয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতোপূর্বে ওই জায়গায় একাধিক স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। এবার বহুতল ভবনের কাজ শুরু হলে এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে পরে লীজ গ্রহিতা মৃত আইনুউদ্দিনের ওয়ারিশানরা। সেই আপত্তি উপেক্ষা করে নাতি কাউছার গংরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে খালের ওপর একতলা ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ সম্পন্ন করে ভাড়া দেন।
ভাড়াটিয়াদের মধ্যে নুরুল ইসলামের ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস, আতাউল হকের সার ও কীটনাশকের দোকান, রিয়াজুলের কুড়া-ভুসির দোকান ও আমির হামজার মুদি মালের গোডাউন রয়েছে।
স্থানীয় বাবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, খালের ওপর ভবনটি নির্মাণ হওয়ায় আমার বসতবাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আমি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় আমি প্রতিনিয়ত হয়রানি ও হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছি। রামনগর-মধুরচর রাস্তা ঘেঁষে “আন্দুখালি” খালের ওই জায়গার লীজ দ্রুত বাতিল করে খালটি পুনরুদ্ধারে ভবন অপসারণের উদ্যোগ না নিলে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনর্দুভোগ চরম আকার ধারন করবে বলে স্থানীয়রা জানান।
জামির্ত্তা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। স্যারদের মতামতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, আমি ফিজিক্যালি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি অনেকগুলো স্থাপনা হয়েছে। আমার কাছে ওখানে খাল মনে হয়নি। স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তার বসতবাড়িতে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।