দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না আক্রান্তের হার। সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা ও উপসর্গে ১২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে রোগীর চাপ সামলাতে দিশেহারা হাসপাতালগুলো। তৈরি হয়েছে শয্যা ও অক্সিজেন সংকট। নিচে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জেলার করোনার চিত্র তুলে ধরা হলো-
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে নয়জন করোনায় এবং ১২ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনের করোনা পজেটিভ ও ৪ জনের বিভিন্ন উপসর্গ ছিল। বর্তমানে হাসপাতালে ১৯১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী ও ৫২ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ২৪৩ জন ভর্তি রয়েছে।
পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮১ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
রাজশাহী : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সংক্রমণে মারা গেছেন ৬ জন ও উপসর্গে ১২ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। তাদের অধিকাংশের বয়স ৩১ থেকে ৬৫ বছরের ওপরে।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের চারজন, নওগাঁর তিনজন, পাবনার তিনজন ও কুষ্টিয়ার একজন রয়েছেন। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৯১ জনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
সাতক্ষীরা : গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
চাঁদপুর : চাঁদপুরে একদিনে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৭ জন মারা গেছেন। এরা সবাই জেলার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ চট্টগ্রামে ১১ জন, নড়াইলে একজন, পঞ্চগড়ে একজন, কিশোরগঞ্জে একজন, ফরিদপুরে ৭ জন, ঠাকুরগাঁয়ে ৬ জন, খুলনায় ৪ জন, দিনাজপুরে ৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬ জন, রংপুরে ৫ জন ও বরিশালে ১৭ জন মারা গেছেন।