মো. নাজমুল হোসেন : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রায় শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী শিকারীপাড়া তারাশংকর কালীশংকর মেমোরিয়াল (টি.কে.এম) উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয় এ নির্বাচন।
ভোটারগণ উৎসব মুখর পরিবেশের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে নরেশ চন্দ্র হালদারকে ৩৬৭ ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন। তবে মো. শামিম ও আমজাদ হোসেন উভয়ে ৩৫৯ পাওয়ায় তাদের মধ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমজাদ হোসেন বিজয়ী হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল গফুর ৩৩৬ ভোট পান। সংরক্ষিত আসনে আফরোজা ৪৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালমা আক্তার নিপা ৩৬২ ভোট পেয়ে পরাজিন হন। অন্যদিকে প্রাথমিক শাখায় মো. হুমায়ুন কবির ৪৪ ভোট এবং মাসুদ রানা ৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রবিউল আওয়াল ৩৩ ভোট এবং দেওয়ান খোরশেদ আলম ৩১ ভোট পান।
এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় দাতা সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষিকা নমিতা সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনটি মূলত ডা. বাবুল হোসেন ও আলিমুর রহমান খান পিয়ারা নামে দুটি প্যানেলে অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেলে ২টি পদে ডা. বাবুল হোসেনের ৩জন প্রার্থী এবং পিয়ারা প্যানেলে ২জন প্রার্থী বিজয়ী হন।
নির্বাচনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক নূর আলম প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচন শেষে সিদ্দিক নূর আলম বলেন, নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী অংশ নিয়েছেন তারা সকলেই যোগ্য। ভোটারগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছেন। আমরা দেখেছি অনেক হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হয়েছে। বিজয়ী এবং বিজিতদের ভোটের ব্যবধান খুবই সামান্য।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী শিকারীপাড়া তারাশংকর কালীশংকর মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যলয়ের আশেপাশে ভোটার, প্রার্থী এবং উৎসুক জনতার ভিড় ছিলো। যেহেতু দুই প্যানেলের কর্ণধান দুইজনই সরকার দলীয় নেতা তাই নির্বাচন সুষ্ঠ রাখতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার দলীয় অনেক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে।
এব্যাপারে নির্বাচন দেখতে আসা অনেকই দাবি করেছেন, আমরা অনেক স্কুলের নির্বাচন লক্ষ করি যেখানে কে সভাপতি কে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তা আমরা অনেকেই জানিই না। কিন্তু এই স্কুলের নির্বাচন আমাদের কাছে জাতীয় নির্বাচনের মত আনন্দঘন পূর্ণ মনে হয়েছে।
যেহেতু অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের পর বিধি মোতাবেক ৭দিনের মধ্যে সভাপতি নির্বাচিত করতে হবে তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫জুন রোববার অত্র প্রতিষ্ঠানে সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিদ্দিক নূর আলম জানিয়িছেন।