নিজস্ব প্রতিনিধি : রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোহার প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং প্রায় ৫০০ খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘১৫ই আগস্ট বাঙ্গালি জাতির শোকের দিন। এই দিনে বিপদগামীদের কারণে বাংলাদেশ গড়ার কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ তার স্বপরিবারকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা। খুনিদের কারণে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ এই দিনে শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজ তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং ঢাকা -১ সাংসদ সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। অচিরেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সোনার বাংলা হিসাবে পরিচিতি পাবে। আর দোহার নবাবগঞ্জ হবে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা।
দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন শিকদার বলেন, ‘আগস্ট বাঙালি জাতির নিকট বেদনাদায়ক একটি মাস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবেচেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি সংগ্রামের দ্ব্যর্থহীন বজ্রকণ্ঠ। দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুইকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। আজ আবার বঙ্গবন্ধু ২ কন্যার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে এগিয়ে গিয়েছি। বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছি।
দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানী’র সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল হক, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য সুরুজ আলম সুরুজ, ঢাকা জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন দরানী, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সোহাগ, দোহার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমাস উদ্দিন, ঢাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, দোহার থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানসহ দোহার প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।