পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক হানিফ চামরককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশের তুর্বত শহরে তার বাড়ির সামনেই এ ঘটনায়। যদিও ঘটনাটি সামনে আসে গতকাল শুক্রবার।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে এসে হানিফ চামরকের ওপর হামলা চালায়। গুলিতে ঝাঁঝরা করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান রওশন আলী জানান, বেলুচিস্তানের জনপ্রিয় এই গায়ককে দুর্বৃত্তরা কী কারণে হত্যা করেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। কেউ এই হত্যার দায় নেয়ার কথাও জানায়নি। দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়।
হানিফের মেয়ে তৈয়বা বেলুচ পাকিস্তানের সক্রিয় মানবাধিকারকর্মী। তিনি মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করেন। বিশেষত নারীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার কণ্ঠ। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সবচেয়ে বড় সমালোচকও এই তুর্বত তরুণী।
সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যুক্ত- এই অভিযোগে বেলুচিস্তানে মাঝেমধ্যেই ধরপাকড় চলে। সন্দেহভাজনদের তুলে নিয়ে যায় পাক নিরাপত্তা বাহিনী। পাকসেনার এই খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তৈয়বা।
বিগত কয়েক বছর ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিদ্রোহে অশান্তি লেগে রয়েছে বেলুচিস্তান প্রদেশে। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে মাঝেমধ্যে হামলাও চালায় বিদ্রোহীরা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পাক নিরাপত্তা বাহিনী অকথ্য অত্যাচার চলে। সন্দেহ হলেই যখন-তখন যাকে-তাকে ধরে নিয়ে যায়।
নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলে মানবাধিকারকর্মীদের জানান, অনেক ক্ষেত্রেই বে-আইনিভাবে আটক রাখা হয়। পাকসেনার হাতে আটক ওই ব্যক্তিদের পরিবারও মাঝেমধ্যে প্রতিবাদী হয়ে গর্জে ওঠে। সেই আন্দোলনের মুখ তুর্বত তরুণী।
গত আগস্টে বেলুচিস্তান প্রদেশের চামান মাল রোডে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত আরও ২০ জন। পাক পুলিশ জানায়, মাদকবিরোধী অভিযান চলছিল। সে সময় অভিযানে শামিল একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।