Dhaka , Monday, 16 June 2025
ব্রেকিং নিউজ :
দোহারে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ,প্রধান আসামি মনি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সিংগাইরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা দোহারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এক কলা গাছে ১৪ মোচা, জনতার ভিড় নোয়াখালীতে নদী ভাঙ্গন রোধে ক্রসডেম নির্মাণ ও ব্লক স্থাপনের দাবিতে জামায়াতের পদযাত্রা দোহারে শিক্ষার্থী ও অসহায়দের মাঝে শিবিরের কোরবানির মাংস বিতরণ দোহার প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পশু কোরবানি নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু সিরাজদিখানে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণমামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন শেখ মো. শামীম উদ্দিন

নবাবগঞ্জে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির ধস্তাধস্তি আহত-৩ থানায় অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:49:44 pm, Wednesday, 22 February 2023
  • 197 Time View

কাজী সোহেল. ভাষা শহিদদের স্বরণে ঢাকার নবাবগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি সালমা ইসলামের উপস্থিতে দলের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির আহবায়ক মো. ইয়াছিন রবিউল আওয়াল সহ তিন জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় রাতেই একটি অভিযোগ দিয়েছেন আহত রবিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি সালমা ইসলাম তার দলের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদ মিনার ত্যাগ করে চলে আসেন। তার কিছু সময় পরে জাতীয় পার্টির নেতা- জাকির হোসেন, মশিউর রহমান তাপস, সাহেদ ভৃূঁইয়া, মনির হোসেন, আজিজুর রহমান, খলীল দেওয়ান সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী সালমা ইসলামকে পূর্ণরায় শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেতে বলেন। এতে সালমা ইসলাম রাজি হয়নি। পরে মো. ইয়াছিন রবিউল আওয়াল ও সালমা ইসলামের সাথে মিলে বলেন এখন আবার ম্যাডাম (সালমা ইাসলাম) ফুল দিতে যাবে কেন? আপনারা পরে আসছেন আপনারাই দিয়ে আসেন। তখন জাতীয় পার্টি নেতা জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছিন রবিউল আওয়ালকে কিল-ঘুষি শুরু করেন এসময় তার সাথে মিলে উপস্থিত সবাই তাকে রবিনকে মেরে আহত করেন এবং তার শরীরে পরিধান করা পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে। এঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
অভিযোগ করে মো. ইয়াছিন রবিউল আওয়াল বলেন, আমাকে শুধু শুধু ওরা মেরে আহত করেছে এবং আমার সাথে থাকা ৯,৭০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে যায়। এবং আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সঠিক বিচারের স্বার্থে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক খলীল বলেন, নিজের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়েছে। পরে ঠিক হয়ে যাবে। অভিযোগের বিষয়ে ম্যাডাম সালমা ইসলাম ওসিকে বলে দিয়েছেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাতীয় পার্টির নিজেদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে এবিষয়ে ইয়াছিন রবিউল আওয়াল বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

দোহারে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ,প্রধান আসামি মনি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

নবাবগঞ্জে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির ধস্তাধস্তি আহত-৩ থানায় অভিযোগ

Update Time : 01:49:44 pm, Wednesday, 22 February 2023

কাজী সোহেল. ভাষা শহিদদের স্বরণে ঢাকার নবাবগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি সালমা ইসলামের উপস্থিতে দলের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির আহবায়ক মো. ইয়াছিন রবিউল আওয়াল সহ তিন জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় রাতেই একটি অভিযোগ দিয়েছেন আহত রবিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি সালমা ইসলাম তার দলের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদ মিনার ত্যাগ করে চলে আসেন। তার কিছু সময় পরে জাতীয় পার্টির নেতা- জাকির হোসেন, মশিউর রহমান তাপস, সাহেদ ভৃূঁইয়া, মনির হোসেন, আজিজুর রহমান, খলীল দেওয়ান সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী সালমা ইসলামকে পূর্ণরায় শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেতে বলেন। এতে সালমা ইসলাম রাজি হয়নি। পরে মো. ইয়াছিন রবিউল আওয়াল ও সালমা ইসলামের সাথে মিলে বলেন এখন আবার ম্যাডাম (সালমা ইাসলাম) ফুল দিতে যাবে কেন? আপনারা পরে আসছেন আপনারাই দিয়ে আসেন। তখন জাতীয় পার্টি নেতা জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছিন রবিউল আওয়ালকে কিল-ঘুষি শুরু করেন এসময় তার সাথে মিলে উপস্থিত সবাই তাকে রবিনকে মেরে আহত করেন এবং তার শরীরে পরিধান করা পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে। এঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
অভিযোগ করে মো. ইয়াছিন রবিউল আওয়াল বলেন, আমাকে শুধু শুধু ওরা মেরে আহত করেছে এবং আমার সাথে থাকা ৯,৭০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে যায়। এবং আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সঠিক বিচারের স্বার্থে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক খলীল বলেন, নিজের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়েছে। পরে ঠিক হয়ে যাবে। অভিযোগের বিষয়ে ম্যাডাম সালমা ইসলাম ওসিকে বলে দিয়েছেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাতীয় পার্টির নিজেদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে এবিষয়ে ইয়াছিন রবিউল আওয়াল বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।