নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নুরনগর এলাকায় পা বাঁধা বস্তাবন্দী অবস্থায় নিসা আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করেন কিশোরীর নানা আব্দুল মালেক বেপারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মালেক বেপারীদের সাথে প্রতিবেশী আত্মীয় আছমা আক্তার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দন্দ্ব চলছিলো। এই ঘটনার সূত্রে ১৫/০৯/২০২১ খ্রি. বুধবার সকাল ১১ টার দিকে তার নাতনী নিসা আক্তারের সাথে প্রতিবেশি আছমা আক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আছমা তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নিসা তার নানার বাসা থেকে বের হয়ে পাশের ঘরে কলম আনতে গেলে আছমাসহ আরও বেশ কয়েকজন পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে আছমাদের বাড়ির রান্না ঘরের পেছনে নিয়ে হাত পা বেঁধে এলোপাথারী মারধর করে একটি বস্তার ভেতর ভরে রাখে।
এদিকে নাতনীকে না পেয়ে আব্দুল মালেক বেপারীসহ তার পরিবারের সবাই চারপাশে খোজাঁখুজি শুরু করে। পরে রাত আটটার দিকে আছমাদের বাড়ির রান্না ঘরের পেছন থেকে হাত পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় একটি বস্তা থেকে নিসাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে ঘটনার সাথে জরিত উল্লেখ করে সামসুন্নাহার (৫০), সালমা আক্তার (২৫), আছমা আক্তার (২৮), সেলিম আহমেদ (৫৫), চায়না আক্তার (৪৫) এই পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তদের বাড়ি ঘটনাস্থল নুরনগরে গেলে চায়না আক্তারকে ছাড়া অন্য কাউকেই পাওয়া যায়নি। এসময় চায়না আক্তার জানান, পারিবারিক দ্বন্দে আমাদের ফাঁসাতে এমন ঘটনা সাজানো হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, আহত অবস্থায় নিসা নামের একটি মেয়েকে উদ্ধারের খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।