নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশি হেফাজতে মামুনের মৃত্যুর একদিন পর মারা গেলেন তার বাবা আবুল হোসেনও।
নবাবগঞ্জে একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে অটোরিকশা চালক মামুন মিয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে গত মঙ্গলবার (১৩অক্টোবর) হাজতখানার টয়লেট থেকে মামুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, মামুন তার পরনের লুঙ্গি দিয়ে হাজতখানার ভেতর টয়লেটের জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ওই ঘটনার পর মামুনের পরিবার নবাবগঞ্জ ছেড়ে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। আর সেখানেই বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মামুনের বাবার মৃত্যু হয়।
নিহত মামুনের মা মাসুদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মারা যাওয়ায় আমার স্বামী বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেছে। আমাদের আর কেউ নেই। আমরা বাড়িতেও যেতে পারছি না।’
নিহত মামুনের স্ত্রী পিংকি আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর শোকে শোকে আমার শশুরও মারা গেল আমাদের কে দেখবে এখন। আমার ছোট ছোট বাচ্ছা এদের নিয়ে কই যাবো এখন এদের দায়িত্ব কে নিব।’