নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার নবাবগঞ্জে স্ত্রীর চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় দ্বিতীয় স্বামীর গলায় এসিড ঢেলে হত্যার চেষ্টা স্ত্রীর । হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে স্বামী ওয়ালিদ (৩৫)। অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। এঘটনায় নবাবগঞ্জ ও সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায় , দোহার উপজেলার ইকরাশি গ্রামের আসলামের স্ত্রীর নিশুর সাথে নবাবগঞ্জ উপজেলার মৌলভী ডাংগির মঙ্গল হাজির ছেলে ওয়ালিদের প্রেমের সম্পর্ক হয় । একপর্যায়ে তারা চলতি বছরের আগস্ট ১৯ তারিখে রাতের আধারে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে এবং সাভারে বসাবাস শুরু করে।
নিশু প্রায়ই তার দ্বিতীয় স্বামী ওয়ালিদের কাছে টাকা চাইতো, টাকা দিতে না পারলে তার স্বামী ওয়ালিদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করত তার স্ত্রী নিশু । এরপর ওয়ালিদের কাছ থেকে জোর করে বার ৫০ হাজার টাকা নেয় স্ত্রী নিশু।
একপর্যায়ে নিশুর পরিবার নিশুকে পারিবারিকভাবে তার পূর্বের স্বামী আসলাম এর কাছে দিয়ে আসে এবং তারা সেখানে আবার পুনরায় বসবাস শুরু করে । এরমধ্যে ওয়ালিদের কাছে দাবি করে নিশু দাবি করে। টাকা দিতে অশ্বীকার করলে তখন নিশুর পূর্বে স্বামী আসলামের নেতৃত্বে নিশু ও আরো ৫/৬ জন মিলে ওয়ালিদ এর উপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে ওয়ালিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে নিশু এক বোতল এসিড মিশ্রিত পানি মুখে ঠেলে দেয়। এতে ওয়ালিদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে । পরে ওয়ালিদের পরিবারের তার চিকিৎসা শুরু নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে ।
আহত ওয়ালিদ জানান আসলাম মাক্কু ও নিশু আমাকে মারধর করে ,পরে মুখে এসিড ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে ফেলে চলে যায়।
এ ব্যাপারে ওয়ালিদের ভাই মোঃ ওয়াসীম জানান আসলাম মাক্কু, নিশু, হারুনসহ ৫/৬ আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে । তাদের কে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং বর্তমানে ওয়ালিদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আসলাম বলেন যে, ওয়ালিদ আমার স্ত্রী নিশুকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় এবং বিয়ে করে । আমার সংসার নষ্ট করে দিয়েছে । এব্যাপারে নিশু বলেন, ওয়ালিদ আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ওয়ালিদের সাথে না গেলে আমাকে ও আমার দুই সন্তানসহ স্বামীকে হত্যা করবে । এ ভয়ে আমি ওয়ালিদের সাথে পালিয়ে যাই এবং গত মাসের ১৯ তারিখে আমরা কোট ম্যারিজ বিবাহ করি ।
পরবর্তী সময়ে আমি আমার পূর্বের স্বামী আসালামের বাসায় ফিরে আসি। এবং ওয়ালিদকে তালাক দেই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সমস্ত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । আমি এই ব্যাপারে কোন প্রকার জড়িত নই।
আহত ওয়ালিদের ছোট বোন মুন্নী জানান আমার ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। ডাক্তাররা আল্লাহর উপর ভরসা করতে বলেছে। ঘটনাটি সাভার থানা এলাকায় ঘটেছে তাই এই ব্যাপারে সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।