দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি. ঢাকার নবাবগঞ্জে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুরে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভা করে এ ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। এর আগে নেতৃবৃন্দরা একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সভা করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন নবাবগঞ্জের সন্তান। তিনি কেন্দ্রীয় পদে আশীন হয়ে তার অবৈধ হস্তক্ষেপে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে অবৈধ ভাবে কথায় কথায় পদ খারিজ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গুলোকে অসাংগঠনিক ভাবে বাতিল করে ভিন্ন দলের লোক দিয়ে কমিটি গঠন সহ বিভিন্ন অগঠনতান্ত্রিক দুরভি সন্ধি মূলক ও তার একক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের আজকে এই প্রতিবাদ সভা।
বক্তারা বলেন কেন্দ্রীয় এই নেতা আমাদের দলের ভিতর ফাঁদ পেতেছেন। তিনি অনেকেরে মাজারের ভিতর কথা দিয়ে কসম কেটে সে কথা রাখেননি। তিনি এই প্রতিবাদ সভার কথা জানতে পেয়ে জেলা কমিটিকে ভুলবাল বুঝিয়ে শুক্রবার রাতে ৩১সদস্য বিশিষ্ট একটি উপজেলা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেন যাহা সাংগঠনিক ভাবে অবৈধ।
নেতারা বলেন, খন্দকার মোস্তাকের চরিত্র আবুল হোসেনের উপর ভর করেছে। কেন্দ্রীয় এই নেতা আবুল হোসেন কিছু অরাজনৈতিক লোক দিয়ে নবাবগঞ্জের দীর্ঘদিনের সুসংগঠিত কৃষকলীগ সংগঠনকে ধ্বংস করার পাঁয়তারায় মেতে ওঠেছে বলে দাবী নেতাদের। আমরা তার এই কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এসময় নেতারা নোংরা রাজনীতি থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগকে রক্ষা করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং অবিলম্বে এই অবৈধ কমিটিকে বাতিল করার জন্য তার প্রতি আহবান করেন।
এসময় কৃষকলীগের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে তাদের এই কর্মসূচীকে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরে আলম। সভায় নেতৃত্ব দেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি জাহিদ হায়দার উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আরশাদ আলী, কৃষকলীগ নেত্রী মায়া রানী বাউলসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহসভাপতি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হোসেন বলেন, থানা ইউনিয়ন কমিটি করার দায়িত্ব আমার না। অবাঞ্চিত ঘোষনার বিষয়ে বলেন, নেতাকর্মীরা তো অনেকে কিছু বলতে পারে এ টা তাদের বিষয়। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা নবাবগঞ্জে ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন চাইলে বলেন, দু এক দিনের মধ্যে কাগজপত্র পৌছে যাবে।