মো. সুজন হোসেন : ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোছাম্মদ কলি আক্তার (২৪) নামে এক বিধবা নারীকে আশ্রয় দিয়ে ৭ মাস নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহমুদপুর ইউনিয়নের শেখ কাশেম (ঘটক) নামে এক ব্যক্তি মোছাম্মদ কলি আক্তার (২৪) বিধবা এক নারীকে তার ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তানসহ ময়মনসিংহ জেলা থেকে ঢাকার দোহারে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন। পরে একই এলাকার আব্দুল জলিলের সাথে গোপনে বিয়ে দিয়ে দুইজনই দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করেন। পাশাপাশি ৭ মাস ঐ নারীকে শারিরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কলি আক্তার। বিষয়টি কাশেমের স্ত্রী জানতে পেরে কলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলেন। তথনই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্যাতিত কলিকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শেকলে বেঁধে অত্যাচার শুরু করেন কাশেমের ভাই শেখ রাশেদ।
এদিকে মায়ের নির্যাতনের দৃশ্য দেখে কলির শিশু কন্যা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এই দৃশ্য দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক গিয়ে পুলিশকে জানালে তাৎক্ষনিক পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হন। পরে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের নির্দেশে নির্যাতিত কলি ও তার শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেন মাহমুদপুর ফাঁিড়র এএসআই অমিত হাসান। পরে ভুক্তভোগী কলি আক্তার বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। আব্দুল জলিল ও শেখ রাশেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে প্রধান আসামি কাশেম ঘটক পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
এবিষয়ে মাহমুদপুর ফাঁিড়র ইনচার্জ মো. জামাল জানান, এই ঘটনায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। আমরা দুইজন আব্দুল জলিল ও শেখ রাশেদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের আদালতে প্রেরণ করেছি। অন্য আসামি কাশেম ঘটককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।