নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদারকে ইউনিয়ন বাসির পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বিলাসপুরবাসীর পছন্দের একজন ব্যক্তি ছিলেন বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান। দোহার উপজেলার আলোচিত ইউনিয়ন ছিল এই বিলাসপুর ইউনিয়ন। জয়-পরাজয় প্রতিটি বিষয়েই রয়েছে। কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে ভিন্নতা ও জটিলতা। সেই জটিলতাকে পিছনে ফেলে কাংখিত পথের যাত্রায় সফল এক চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার। তার সফলতায় আজকের এই গণ-সংবর্ধনার রুপ নিয়েছে। বিলাসপুরের সাধারণ জনগণ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। বৃহস্পতিবার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী খতমে কুরআন, গণ-সংবর্ধনা ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার বলেন, আমি রাশেদকে আপনারা যারা ভালোবেশে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি বিলাসপুরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের ও এই ইউনিয়নের সবসময় কল্যাণের জন্য কাজ করে যাবো। পূর্বের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবো ইনশা’আল্লাহ।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দোহার উপজেলার একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রাশেদ চোকদারকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো। তার মনোনয়ন বিষয়ে মাননীয় সাংসদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অবগত রয়েছেন। তিনি বলেন আমি বিলাসপুর ইউনিয়নে একটি চারা রোপন করে ছিলাম, সেটি ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ গাছে পরিনত হয়েছে। এই গাছ এখন বিলাসপুরে হাজার হাজার মানুষকে তার ছায়া দিয়ে রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, বিলাসপুরবাসীর একজন মানুষেরও কান্না দেখতে চাই না। কারণ গত ৫ বছর এই অঞ্চলের মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাঝে সমন্বয় হীনতা থাকায় উন্নয়ন হয়নি। এমনকি এই কারণে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরত যায়। বিশেষ করে দুই জন মেম্বার রাশেদ চোকদারকে ভালবাসার কারণে তাদের চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। বিগত দিনের মতো যেন কোনো ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়েও বর্তমান চেয়ারম্যানকে সর্তক করেন। পরিষদ একটি পবিত্র স্থান সেটিকে সততার মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে বলে তিনি জানান ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি মোল্লা মুহাম্মদ বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা করম আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুজাহার বেপারী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সদস্য জয়নাল আবেদীন, সদস্য সুরুজ আলম সুরুজ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি সিয়াস উদ্দিন সোহাগ, মুকসুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হান্নান, নয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তরুণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাসার চোকদারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
সংবর্ধনা শেষে সন্ধ্যায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ইসলামিক কালচারাল ইনস্টিটিউট (আইসিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা জাগ্রত কবি আল্লামা মুহিব খান, দোহার থানা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী কামাল উদ্দীন কাসেমী ও কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর ইলিয়াস হাসান ও মুহিব খান ইসলামিক কালচারাল ইনস্টিটিউটের মুফতি আব্দুল হান্নানের উপস্থাপনায় ইসলামিক সংগীত পরিবেশন করেন কলরব শিল্পীগোষ্ঠী।