নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহার উপজেলার সুন্দরীপাড়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবির হোসেনকে বেত্রাঘাত করে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থীকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থী আবির হোসেন উপজেলার শিলাকোঠা গ্রামের কাতার প্রবাসী মিন্টু মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার স্কুলে ইংরেজি ক্লাস চলাকালীন আবির হোসেনের পাশের শিক্ষার্থী পলিথিনে মোড়ানো পিছফলের খোসা স্কুল ব্যাগে রাখার সময় ইংরেজি শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের নজরে পড়ে। তখন তিনি ওই শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চায় ব্যাগে কী রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থী জানায়, আবির স্কুলে পিছফল নিয়ে এসেছিল তা খাওয়ার পর খোসা ব্যাগের ভিতর রেখেছি। শ্রেণিকক্ষে পিছফল খাওয়ার অভিযোগে আবির হোসেনকে বেত দিয়ে উপূর্যপুরি আঘাত করে। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও লালচে দাগ হয়ে যায়। এ সময় সহপাঠীরা তাকে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে গেলে আবিরের পরিবার দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়।
শিক্ষার্থীর মা কোহিনুর বেগম বলেন, আমার ছেলে অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে শাসন করে দিতে পারতো কিন্তু তারা যেভাবে মারধর করেছে তা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পরিপন্থী। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। ওই শিক্ষকের বিরোধে এর আগেও একাধিক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুন্দরীপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। দোহার থানা থেকে প্রশাসনের লোকজন এসেছিলো। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা, শিক্ষক ও ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন মিলে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিষয়ে শিক্ষার্থী আবিরের পরিবার দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।