নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহার উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের পালামগঞ্জ বাজারে জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় আনোয়ার হোসেন ও সাজুর উপর দুই দফা হামলা চালায় আব্দুল হাকিম (আমিন), উপজেলার লটাখোলা বিলেরপাড় এলাকার ফজল খানের ছেলে নান্টু, কামাল, মধ্য লটাখোলার রহম আলীর ছেলে সোহাগ, লটাখোলা এলাকার জিল্লু মিয়ার ছেলে রবিউলসহ আরো কয়েকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পালামগঞ্জ কবরস্থানের পাশে মো. মিলন শিকদারের জায়গায় দোকান উঠাতে গেলে আব্দুল হাকিম ও তার লোকজন বাধা দেয়। সেখানে আনোয়ার হোসেন ও সাঝু উপস্থিত থাকে। এক পর্যায়ে আব্দুল হাকিমের লোকজন আনোয়ার ও সাঝুর উপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। আহতরা চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে গিয়েও আব্দুল হাকিমের লোকজন মারধর করে গুরুতর আহত করে।
এবিষয়ে মিলন শিকদার বলেন, আমাদের জমিতে দোকান উঠাতে গেলে হাকিম বাধা দেয় এবং বলে এই জমি আমাদের নেই। তখন আমি জানতে চাই কেনো নেই এবং বিষয়টি জানার জন্য আনোয়ারকে ডাকি। আনোয়ার ও সাজু এলেই হাকিম ও তার লোকজন তাদের উপর হামলা চালায় ও মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় তাদের সবাইকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে গিয়েও মারধর করে রক্তাক্ত করে হাকিমের লোকজন। এমনকি আমাদের মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে তারা।
আহত আনোয়ার হোসেন ও সাজু বলেন, আমাদের মিলন ভাই ডাকলে সেখানে যাই। কেনো তার জমিতে দোকান উঠাতে দেয়া হবে না বিষয় জানতে চাওয়ায় আমাদের উপর হঠাৎ আক্রমণ করে বসে হাকিমসহ তার লোকজন নান্টু, রবিউল, কামাল ও আরও অনেকে।
তখন আমরা আহত হলে চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে এখানে এসেও বেধরক মারধর করে হাকিমের লোকজন। আমাদেরকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দীন জানান, ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ওসি, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
দোহার থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাশ্বের আলম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।