নিজস্ব প্রতিবেদক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পরিসংখ্যান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন তারিখে সপ্তাহব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনার মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে শুমারি পরিচালনা করবে। জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) কে ভিত্তি করে ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবলেট ব্যবহার করে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এ লক্ষ্যে দোহার উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আওতায় ১১৩ জন গণনাকারী ও ১৬ জন সুপারভাইজারদের ট্রেনিং সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছে। ৪ জুন শনিবার হতে আগামী ৭ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রথম শিফট ও ৯ জুন হতে ১২ জুন পর্যন্ত ২য় শিফট এর গণনাকারীদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। আগামী ১৫-২১ জুন ২০২২ তারিখকে শুমারি সপ্তাহ হিসেবে এবং ১৪ জুন তারিখ দিবাগত রাত ১২টা শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট বা শূন্য মুহূর্ত ধরে গণনা শুরু হবে।
এই সময়ে স্থানীয়ভাবে সাময়িকভাবে নিযুক্ত তথ্যসংগ্রহকারীরা প্রত্যেক গৃহ, খানা ও ব্যক্তির তথ্য ট্যাবলেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে। মাঠ পর্যায়ের তথ্য বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লি. এর টায়ার ফোর সিকিউরিটি সমৃদ্ধ ডেটা-সেন্টার ব্যবহার করা হবে। সংগৃহীত তথ্য এনক্রিপটেড হওয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতি ১০ বছর পরপর জনসংখ্যার সঠিক হিসাব পেতে এ ধরনের শুমারি করা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারির হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৫ লাখ। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে দেশে আদমশুমারি বা জনশুমারি করার লক্ষ্য থাকলেও করোনা পরিস্থিতি ও ট্যাব কেনা জটিলতায় বারবার পিছিয়ে যায়।
১ম শিফট এর শেষ দিনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাশ্বের আলম। দোহার পৌর প্রশাসক মোঃ আজাদ হোসেন খান, ইউসিসি মোঃ ফুরকান আহমেদ, সরকার ইতিমধ্যে ১১৩ জন গণনাকারীদের মাঝে ট্যাবলেট বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। দোহার পৌরসভা হলরুল প্রাঙ্গনে প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দোহার পৌরসভার দক্ষ জোনাল অফিসার পদে মোঃ সোহেল রানা এবং আইটি বিভাগের কর্মরত শারমিন সুলতানা মেরি প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন।