Dhaka , Monday, 16 June 2025
ব্রেকিং নিউজ :
দোহারে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ,প্রধান আসামি মনি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সিংগাইরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা দোহারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এক কলা গাছে ১৪ মোচা, জনতার ভিড় নোয়াখালীতে নদী ভাঙ্গন রোধে ক্রসডেম নির্মাণ ও ব্লক স্থাপনের দাবিতে জামায়াতের পদযাত্রা দোহারে শিক্ষার্থী ও অসহায়দের মাঝে শিবিরের কোরবানির মাংস বিতরণ দোহার প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পশু কোরবানি নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু সিরাজদিখানে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণমামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন শেখ মো. শামীম উদ্দিন

দোহারে কিশোরীকে সেভেনআপ খাইয়ে ধর্ষণ

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:40:02 am, Tuesday, 6 September 2022
  • 260 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহারে উত্তর শিমুলিয়া এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার হাসান (২৫) ও নজরুল ওরফে নজুর (৩০) বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে উত্তর শিমুলিয়া এলাকা হতে সুমি (ছদ্ম নাম) নামের ১৫ বছরের এক কিশোরীকে সেভেন আপের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে নবাবগঞ্জ উপজেলার চূড়াইন ইউনিয়নের মুসলেমহাটি গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে র্ধষণ করে হাসান ও নজু। হাসান উত্তর শিমুলিয়া এলাকার কুদ্দুস মোল্লার ছেলে ও নজরুল ওরফে নজু একই এলাকার মোঃ রবের ছেলে। জানা যায়, গ্রাম সম্পর্কে হাসান ও নজু কিশোরীর চাচা হয়।

এ বিষয়ে সুমির (ছদ্ম নাম) মা জানান, হাসান ও নজু গ্রাম সম্পর্কে আমার দেবর হয়। সে হিসেবে দেখা হলে  কথা হতো তাদের সাথে এবং আমার মেয়েকে চাচ্চু চাচ্চু বলে আদরও করতো। বুঝতে পারিনি আমাদের এই সরলতার সুযোগ নিয়ে এতোবড় ক্ষতি করবে তারা। এ ঘটনার পর মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে প্রায় ১০/১২ দিন আগে আমার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে সেভেন আপের সাথে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে অজ্ঞান করে আমার মেয়েকে নষ্ট করে এবং ভিডিও করে আমার মেয়েকে ব্লাকমেইল করে স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। আমার মেয়ে লজ্জায় ও ভয়ে আমাদেও কিছু বলেনি। পুনরায় আবার কয়েকদিন ধরে আবার স্বর্ণ ও টাকা পয়সা দাবী করে আসছিলো ওরা। দিতে না পারলে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছিলো। তখন আমার মেয়ে বাধ্য হয়ে গতকাল ওর স্বর্ণের দুল ও বাড়ি থেকে কিছু টাকা লুকিয়ে নিয়ে বিকেলে দিতে গেলে ওরা দুজন পুনরায় আবার আমার মেয়েকে অজ্ঞান করে নবাবগঞ্জের এক গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে আবারও নষ্ট করে। পরে আমরা রাত ১১টার দিকে আমাদের মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করি। তখন আমার মেয়ের থেকে আমরা সব জানতে পারি। এখন সুমি (ছদ্মনাম) দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আছে।

দোহার থানার এসআই সুলতান জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কিশোরীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি এবং ভিক্টিমের সাথে কথা বলেছি। পরবর্তী আইনগত সকল ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য কার্যক্রম চলমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দোহারে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ,প্রধান আসামি মনি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

দোহারে কিশোরীকে সেভেনআপ খাইয়ে ধর্ষণ

Update Time : 06:40:02 am, Tuesday, 6 September 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহারে উত্তর শিমুলিয়া এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার হাসান (২৫) ও নজরুল ওরফে নজুর (৩০) বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে উত্তর শিমুলিয়া এলাকা হতে সুমি (ছদ্ম নাম) নামের ১৫ বছরের এক কিশোরীকে সেভেন আপের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে নবাবগঞ্জ উপজেলার চূড়াইন ইউনিয়নের মুসলেমহাটি গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে র্ধষণ করে হাসান ও নজু। হাসান উত্তর শিমুলিয়া এলাকার কুদ্দুস মোল্লার ছেলে ও নজরুল ওরফে নজু একই এলাকার মোঃ রবের ছেলে। জানা যায়, গ্রাম সম্পর্কে হাসান ও নজু কিশোরীর চাচা হয়।

এ বিষয়ে সুমির (ছদ্ম নাম) মা জানান, হাসান ও নজু গ্রাম সম্পর্কে আমার দেবর হয়। সে হিসেবে দেখা হলে  কথা হতো তাদের সাথে এবং আমার মেয়েকে চাচ্চু চাচ্চু বলে আদরও করতো। বুঝতে পারিনি আমাদের এই সরলতার সুযোগ নিয়ে এতোবড় ক্ষতি করবে তারা। এ ঘটনার পর মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে প্রায় ১০/১২ দিন আগে আমার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে সেভেন আপের সাথে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে অজ্ঞান করে আমার মেয়েকে নষ্ট করে এবং ভিডিও করে আমার মেয়েকে ব্লাকমেইল করে স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। আমার মেয়ে লজ্জায় ও ভয়ে আমাদেও কিছু বলেনি। পুনরায় আবার কয়েকদিন ধরে আবার স্বর্ণ ও টাকা পয়সা দাবী করে আসছিলো ওরা। দিতে না পারলে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছিলো। তখন আমার মেয়ে বাধ্য হয়ে গতকাল ওর স্বর্ণের দুল ও বাড়ি থেকে কিছু টাকা লুকিয়ে নিয়ে বিকেলে দিতে গেলে ওরা দুজন পুনরায় আবার আমার মেয়েকে অজ্ঞান করে নবাবগঞ্জের এক গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে আবারও নষ্ট করে। পরে আমরা রাত ১১টার দিকে আমাদের মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করি। তখন আমার মেয়ের থেকে আমরা সব জানতে পারি। এখন সুমি (ছদ্মনাম) দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আছে।

দোহার থানার এসআই সুলতান জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কিশোরীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি এবং ভিক্টিমের সাথে কথা বলেছি। পরবর্তী আইনগত সকল ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য কার্যক্রম চলমান।