নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ঢাকার দোহার উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে কারেন্ট জাল ও ইলিশ মাছসহ ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশ্বের আলম।
উপজেলার মধুরচর এলাকায় শনিবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে মহন মিনা ও সহন মিনার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দোহার থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন জায়গার ঝোপ-ঝাড় থেকে প্রায় ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও প্রায় ২০ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়।
পরে উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল তাৎক্ষণিকভাবে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং উদ্ধারকৃত মাছ সুতারপাড়া জামিয়া এমদাদিয়া ইসলামাবাদ মাদরাসা ও এতিমখানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ জেলে কে আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা হলেন, মধুরচর এলাকার খালেক সরদারের ছেলে মো. নুরুজ্জামান (২৫), শাসুদ্দিন শেখের ছেলে সোহরাব শেখ (৩০), নারিশা পশ্চিমচরের সহর শেখের ছেলে তাজেল বেপারী (৩৮), রমজান খাঁর ছেলে রুবেল খাঁ (২৪), দবির মোল্লার ছেলে মোশারফ মোল্লা (৪৫), হালিমকান্দি এলাকার তোতা মন্ডলের ছেলে হাসমত (২৫), বাসুদেবপুর এলাকার কাদেরের ছেলে রায়হান (৪০), নারিশা এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা (২৫), চৈতান্ন রাজবংশীর ছেলে নিরঞ্জন রাজবংশী (৩২), রানীপুর এলাকার মরফত শেখের ছেলে কালাম (৪০)। পরে আটককৃত ১০ জেলে কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৪ দিন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাশ্বের আলম বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এই কয়দিন দোহারের পদ্মা নদীর বিভিন্ন অংশে প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এসময় কোনো জেলে যেনো মাছ ধরতে না নামে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সকলকে সর্তক করা হয়েছে। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে সহযোগিতা করেন দোহার থানার এসআই সুলতান, নৌ পুলিশ ফাড়ির এসআই জহুরুলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।