মো. কামাল হোসেন : মাছ ব্যবসায়ী এবং মাছের আড়তের কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দের কারণে ঢাকার দোহার উপজেলার মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাটের মাছ ব্যবসায়ীরা অঘোষিত ধর্মঘট পালন করছে। অঘোষিত এ ধর্মঘটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী জেলেদের। সেই সাথে ক্ষতি হচ্ছে মৈনটঘাটের আড়ৎদারদেরও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে মৎস আড়তের কর্মচারী এবং মৈনটঘাটে মাছ কিনতে আসা উপজেলার পালামগঞ্জ বাজারের এক মাছ বিক্রেতার সাথে মারামারি হয়। এ কারণেই বু্ধবার (৭ অক্টোবর) মৈনটঘাটের মাছ ব্যাবসায়ীরা ধর্মঘট করেন। ধর্মঘটের কারণে রাজধানী ঢাকা এবং দোহারের মাছ ব্যবসায়ীরা মৈনটঘাটে আসেনি। ফলে মৈনটঘাটে মাছের দাম ছিল প্রতিদিনের চেয়ে তুলনামূলক কম। অনেক জেলেরা ধর্মঘটের কারণে মৈনটঘাটে মাছ বিক্রি না করে দোহারের বিভিন্ন বাজারে কম দামে মাছ বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক জেলে।
জেলে মো. রেজেক জানান , ” মারামারির কারণে বেপারীরা আসে নাই তাই মাছ বাজারে বিক্রি করছি।”
আরেক জেলে মো. আ. আজিজ জানান, ” ঘাটের ভেজালের কারণে আমরা মাছের দাম খু্ব কম পাইছি। আমরা ভেজালের মীমাংসা চাই।
আড়তদার ইছহাক মুন্সী জানান, “মাছ ব্যবসায়ী এবং এক আড়তের কর্মচারীদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। আমি মনে করি বেপারীদের সাথে মারামারি করা ঠিক হয় নি।”নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আড়তদার জানান, শেরজন মোল্লা আর মুরাদ মৃধার আড়তের ককর্মচারীরা এক ব্যবসায়ীকে মারধর করছে। ব্যবসায়ীদের সাথে আড়তদাররা ঝামেলা মীমাংসা করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন এই আড়তদার।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, “উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।”