নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সেশন ও উন্নয়ন ফি‘র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার এসব ফি সিথিল করলেও মানা হচ্ছেনা কোনো নির্দেশনা। এমন ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ দুটি খাতে ১৫’শ টাকা করে আদায় করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকাসহ সেশন ও উন্নয়ন ফি’র টাকা দিতে চাপ দেয়া হচ্ছে। ফলে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গত ৯জুন থেকে টাকা নেয়া শুরু করলেও শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি টাকার কোনো রশিদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে জানান, তাদের বেতনসহ সেশন ও উন্নয়ন ফি’র টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পরেছেন অনেক পরিবার। এরমধ্যে এতটাকা দিয়ে সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি দেয়া অসাধ্য ব্যাপার। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
এ বিষয়ে কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম বলেন, আমরা কাউকে চাপ দিচ্ছিনা। জানুয়ারি মাসের সেশন ফি আর উন্নয়ন ফি এর টাকা নেয়া হচ্ছে। রশিদ পরে দেয়া হবে। বিদ্যালয়ের খরচ বহন করার জন্য এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ঘটনাটি জানতে পারলাম। এবিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হবে।