Dhaka , Monday, 16 June 2025
ব্রেকিং নিউজ :
দোহারে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ,প্রধান আসামি মনি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সিংগাইরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা দোহারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এক কলা গাছে ১৪ মোচা, জনতার ভিড় নোয়াখালীতে নদী ভাঙ্গন রোধে ক্রসডেম নির্মাণ ও ব্লক স্থাপনের দাবিতে জামায়াতের পদযাত্রা দোহারে শিক্ষার্থী ও অসহায়দের মাঝে শিবিরের কোরবানির মাংস বিতরণ দোহার প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পশু কোরবানি নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু সিরাজদিখানে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণমামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন শেখ মো. শামীম উদ্দিন

দোহারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন ফি’র নামে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:09:35 pm, Thursday, 10 June 2021
  • 290 Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সেশন ও উন্নয়ন ফি‘র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার এসব ফি সিথিল করলেও মানা হচ্ছেনা কোনো নির্দেশনা। এমন ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ দুটি খাতে ১৫’শ টাকা করে আদায় করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকাসহ সেশন ও উন্নয়ন ফি’র টাকা দিতে চাপ দেয়া হচ্ছে। ফলে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গত ৯জুন থেকে টাকা নেয়া শুরু করলেও শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি টাকার কোনো রশিদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে জানান, তাদের বেতনসহ সেশন ও উন্নয়ন ফি’র টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পরেছেন অনেক পরিবার। এরমধ্যে এতটাকা দিয়ে সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি দেয়া অসাধ্য ব্যাপার। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

এ বিষয়ে কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম বলেন, আমরা কাউকে চাপ দিচ্ছিনা। জানুয়ারি মাসের সেশন ফি আর উন্নয়ন ফি এর টাকা নেয়া হচ্ছে। রশিদ পরে দেয়া হবে। বিদ্যালয়ের খরচ বহন করার জন্য এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ঘটনাটি জানতে পারলাম। এবিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দোহারে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ,প্রধান আসামি মনি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

দোহারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন ফি’র নামে রশিদ ছাড়া টাকা আদায়

Update Time : 03:09:35 pm, Thursday, 10 June 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সেশন ও উন্নয়ন ফি‘র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার এসব ফি সিথিল করলেও মানা হচ্ছেনা কোনো নির্দেশনা। এমন ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ দুটি খাতে ১৫’শ টাকা করে আদায় করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকাসহ সেশন ও উন্নয়ন ফি’র টাকা দিতে চাপ দেয়া হচ্ছে। ফলে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গত ৯জুন থেকে টাকা নেয়া শুরু করলেও শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি টাকার কোনো রশিদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে জানান, তাদের বেতনসহ সেশন ও উন্নয়ন ফি’র টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পরেছেন অনেক পরিবার। এরমধ্যে এতটাকা দিয়ে সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি দেয়া অসাধ্য ব্যাপার। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

এ বিষয়ে কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম বলেন, আমরা কাউকে চাপ দিচ্ছিনা। জানুয়ারি মাসের সেশন ফি আর উন্নয়ন ফি এর টাকা নেয়া হচ্ছে। রশিদ পরে দেয়া হবে। বিদ্যালয়ের খরচ বহন করার জন্য এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ঘটনাটি জানতে পারলাম। এবিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হবে।