নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে খুলনাগামী কনক পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাত ১২টার দিকে যাত্রীবেশে ৬ জনের ডাকাতদল ধারালো অস্ত্রের মুখে বাসের ড্রাইভার ও যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি করে।
একযাত্রী জানান, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে কনক পরিবহনটি একটি এসি বাস রাত সাড়ে ১১টায় রওনা দেয়। সায়েদাবাদ থেকেই ডাকাতদল যাত্রীবেশে বাসে উঠে। বাসটিতে তখন যাত্রী ছিল মোট ১৮ জন। বাস প্রায় আধা ঘণ্টা চলার পর কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর টোলঘর পাড় হওয়ার পরই ৬ জন ডাকাত ধারালো অস্ত্রের মুখে ড্রাইভারসহ ১২ জন যাত্রীকে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নিয়ে নেয়। এসময় বাসে থাকা সব যাত্রীদের হাত-পা বেধেঁ ফেলে ও বাসের সিটের কভার দিয়ে মুখও ঢেকে ফেলে ডাকাতরা। এরপর চলন্ত বাসেই ডাকাতি করতে থাকে তারা। প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সিরাজদীখান থেকে ডাকাতি শুরু করে ঘুরে মাওয়া হয়ে আবার ধলেশ্বরী নদীর ওপারে এসে নেমে যায় ডাকাতরা।
খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়া আরেক যাত্রী জানান, ডাকাতরা আমাদের ভয়ভীতি দেখায় ও মারধরও করে। ডাকাতরা যেখান থেকে ডাকাতি শুরু করেছে, মাওয়া ঘাট ঘুরে আবার সেখানেই নেমে পালিয়ে যায়। চলন্তবাসেও ডাকাতি, আমরা নিরাপদ কোথায়? এর যথাযথ প্রতিকার চাই ।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাসটি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান এলাকায় প্রবেশের পর ডাকাতি শুরু করে। চলন্ত বাসে ডাকাতি করাতে বেশ কয়েকটি থানা প্রদক্ষিণ করে আবার সিরাজদীখানের টোলঘর প্রাঙ্গণে এসে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। তখন ড্রাইভার বাসটি চালিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় প্রবেশ করে। যদিও ঘটনাটি সিরাজদীখান থানার আওতায়, তবে এত রাতে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে রাখি। কনক পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব, ১৫-১০৪৩) বাসটি উদ্ধার করি। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।