নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের চিত্র ভিন্ন। গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে আসা মানুষের চেয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি। যারা জরুরি কাজে নিয়োজিত তারা স্বল্প ছুটি শেষে আবারও ফিরে এসেছেন ঢাকায়। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশন এসে থামে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ঘোষিত নির্দেশনা মেনে আন্তঃনগর ট্রেনটি থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছে।
এর যাত্রী একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, কিছু করার নেই, অফিস খুলে যাবে রোববার থেকে। কাল থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। সে জন্যই ঈদের পরের দিনই ঢাকায় ফিরে আসতে হলো।
একই ট্রেনের যাত্রী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য হাসান হাবীব বলেন, আমাদের তো কোনো ছুটি নেই। আমাদের তো দায়িত্ব পালন করতেই হবে। সে কারণে ঈদের পরদিনই ঢাকায় ফিরে এলাম।
সরকারি চাকরিজীবী মেরিনা জাহান বলেন, আমাদের সীমিত পরিসরে অফিস চলবে। এজন্য তাড়াতাড়ি ফিরতে হলো।
এদিকে, ঢাকায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা ছাড়ার যাত্রীরাও ভিড় জমিয়েছেন স্টেশনে। রেলস্টেশনের প্রবেশমুখে জামালপুর কমিউটার, বলাকা কমিউটার, কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইন দেখা যায়।
এখানে অপেক্ষামানরা জানান, দীর্ঘ লকডাউন থাকায় তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এদের অনেকেই বেসরকারি চাকরিজীবী। লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকবে তাই তারা বাড়িতে যাচ্ছেন।
বলাকা কমিউটারের টিকিট কাটার সময় আফজাল হোসেন বলেন, লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকবে। ঈদের আগেই বাড়ি যেতাম। টিকিট পাইনি বলে আজ যাচ্ছি।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে করে সপরিবারে ঢাকা ছাড়ছিলেন আকবর আলী। যাবেন নেত্রকোনায়। তিনিও জানানন, ঈদের আগে ট্রেন বা বাসের টিকিট পাননি। তাই ঈদের পরের দিন বাড়িতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বন্ধ রয়েছে একতা, সুন্দরবন, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন।