নিজস্ব প্রতিবেদক : কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন খামারিরা। গরু মোটাতাজাকরণ থেকে শুরু করে বাজারজাতের ব্যবস্থায় এখন ব্যস্ত তারা। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় ভারতীয় গরুর আমদানি ঠেকানো না গেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজা গরু সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন এক খামারি। তার খামারে শাহিওয়াল, ফাইটার, নেপালি ঘির, রাজ্যস্থানি, ওয়েস্টার্ন ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের অন্তত আড়াই শতাধিক গবাদিপশু আছে। এর মধ্যে ১২৮টি গরু আর মহিষ কোরবানির জন্য বাজারজাতকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। প্রত্যাশা করছেন, বাজারে ভারতীয় গরুর আধিক্য না থাকলে কয়েক কোটি টাকা আয় হবে তার। আমার ১২৫টি গরু, আশা করি ৪ কোটি টাকা বিক্রি করতে পারব। সরকারের কাছে আকুল আবেদন, এ বছর যাতে ভারতীয় গরু আনা বন্ধ রাখে।’তার মতো এলাকার আরো অনেক খামারিই ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত এখন প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে। গবাদিপশুর খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাসের পাশপাশি খৈল, ভুসি ও খড়জাতীয় বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করছেন তারা।
এদিকে, হাটে ভারতীয় গরুর প্রবেশ ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম সাইফুজ্জামান। চলতি বছর কোরবানির জন্য এক লাখ ২৮ হাজার ৭২৭টি গরু লালন-পালন করছেন অন্তত ১২ হাজার খামারি।