কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার কেরানীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় নিহত শেফালী বেগমের হত্যাকারী আল-বারাকা মডেল হাসপাতালের ডাঃ গ্রীস চন্দ্র বিশ্বাস, জেনারেল ম্যানেজার আলহাজ আবুল কাসেম ও হাসপাতালের মালিক সোলেমান জামানের ফাঁসির দাবী ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি তদন্ত রমজানুল হক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিয়ার হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে নিহত শেফালী বেগমের সন্তানেরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত শেফালী বেগমের বড় ছেলে মোঃ সুরুজ শিকদার তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৩জুলাই তার মা শেফালী বেগমকে বাম হাতের টিউমার অপারেশনের জন্য কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় আল-বারাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই তাকে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় । এসময় ডাঃ গ্রীস চন্দ্র বিশ্বাসের নির্দেশে তার মায়ের বাম হাত অবশ না করে তারা তার সারা শরীর অবশ করে ফেলেন। এতে দীর্ঘ সময় তার মায়ের জ্ঞান ফিরে না আসলে তারা দ্রুত তার মাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করেন। গত ১১ জুলাই সকালে তারা তার মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
পরবর্তীতে সে নিজে বাদী হয়ে আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত পিবিআই এর কাছে তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। মামলার আসামীগণ মামলার খবর জানতে পেরে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে সমজোতার চেষ্টা করেন। এছাড়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি সমজোতার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে গত ২৬জুলাই আল-বারাকা হাসপাতালের ম্যানেজার আবুল কাশেম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিয়া তাকে মিমাংসার কথা বলে থানায় ডেকে নিয়ে হাজত খানায় রাখেন। পরের দিন আদালতে প্রেরণ করলে সে সহ তার অপর দুই ভাই-বোন জামিন পান। তারা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে ন্যায় বিচারের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিহত শেফালী বেগমের মেয়ে খাদিজা আক্তার, ছোট ছেলে মোঃ চান মিয়া শিকদার।