কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিকালে জিনজিরা বিএনপি পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ বাঁধা দেয়।
এসময় বিএনপি শতাধীক নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে পরেন। এসময় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিপুন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে জিনজিরাস্থ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য বিএনপির উপর লাঠি চার্জ করেন।
এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাদ্দেদ আলী বাবু, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজি ওমর শাহনেওয়াজ, যুবদল নেতা মোক্কারম হোসেন সাজ্জাদ, মো. স্বাধীন ও কৃঞ্চসহ ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন নুরুর বৃদ্ধ মাকে দেখার জন্য তার বাড়িতে যাই। এসময় পরিকল্পিতভাবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম আহমেদ নিরবের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা নুরুর বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা ও ভাংচুর করে। ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপি নেতা নুরুর বৃদ্ধ মা খুরশিদা বেগম, জেসমিন হোসেন, রাবেয়া বেগম, আসমা বেগম ও রুনা আক্তারসহ ১০জন আহত হয়। এই হামলার প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে নেতাকর্মীরা পার্টি অফিসের সামনে মিছিল করা হলে পুলিশ বাঁধা দেয়। বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে জিনজিরা প্রধান সড়ক হয়ে মডেল থানার দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ পুনরায় হামলা চালায়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপড় লাঠি চার্জ করলে এতে কমপক্ষে ১০জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এই ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন নিরবের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম মামুন (ম.ই মামুন) বলেন, কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলছিল। বিএনপি নেত্রী নিপুন রায় চৌধুরী কোন্ডা ইউনিয়নে গেলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন নিরব ঘটনাস্থলে যায়। এর কারণে ছাত্রলীগ নেতা নিরবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
এঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) সাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো অনুমোদন না নিয়ে রাস্তায় মিছিল ও অবরোধ করেন। এসময় তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।