মো. নাজমুল হোসেন: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রথম বারের মত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান শিকদার। এর আগে তিনি উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বিষয়টি জাগ্রত জনতাকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা ২৬ডিসেম্বর উপনির্বাচনের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত ছিলাম। যেহেতু একজন বাদে সকল প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তাই ইঞ্জিনিয়ার আরিফ বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমান এমপি সকল প্রার্থীদের সাথে একটি জরুরি সভা করেন। ওই সভায় সকল প্রার্থীগণ একমত পোষণ করে ইঞ্জিনিয়ার আরিফকে সাপোর্ট দিয়ে তাদের মনোনয় প্রত্যাহার করেন।
এব্যাপারে সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ স¤পাদক বলেন,আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে আমিসহ ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। যেহেতু আমরা সকলে আওয়ামীলীগ করি আর আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক সালমান এফ রহমান এমপি। তাই তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি আন্তরিকতার সাথে সাদরে গ্রহণ করেছি। একই সুরে সুর মিলিয়ে আরেক প্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের অভিভাবক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরমরা সকলে তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আরিফকে সাপর্ট দিয়েছি।
জানাযায়, ১৯৯০ সালে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশুনা চলাকানীন সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন আরিফ। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক হন। ওই সময় থেকেই তার রাজনীতি জীবন শুরু। দীর্ঘদিন রাজনীতির পরিক্রমায় তিনি বারুয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে ১ম বারের মত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই সাথে এবছর উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হন তিনি। এছাড়া সুনামের বারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বারুয়াখালী ন্যাশনাল ক্লাবের সাধারণ স¤পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ইঞ্জিনিয়ার আরিফ ১৯৭৪ সালের ১২ এপ্রিল বারুয়াখালী এলাকার স্বনামধন্য শিকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা আলম শিকদার একজন সরকারি চাকরিজীবী (অবসরপ্রাপ্ত) ছিলেন। মা ছহেরা আলম একজন গৃহিনী।
এব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জি. আরিফ বলেন, ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শ ছিলেন। আমি তার আদর্শের একজন সৈনিক। তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পথ স্বপ্নদ্রষ্টা। যিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। আমি আমার পুরোটা জীবন আওয়ামীলীগের জন্য বিলিয়ে দিতে চাই। সেই সাথে আমাদের অভিভাবক সালমান এফ রহমান এমপি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেনো যথাযথ ভাবে পালনের মাধ্যমে সাংসদ এবং প্রধানমন্ত্রীর হাততকে শক্তিশালী করতে পারি সে জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।