নিজস্ব প্রতিবেদক : অনেক দিনের স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসে গিয়ে টাকা আয় করে সংসারের হাল ধরবেন দোহার খালপাড় এলাকার গগণ শেখের ছেলে আরিফ শেখ (২৪)। তার পরিচিত এক আত্মীয় উপজেলার শিমুলিয়া এলাকার সালাম চৌকিদারের ছেলে প্রবাসি মিথুনের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ হওয়া শুরু হয়। অল্প টাকায় সৌদি আরবের ভিসা পেয়ে যায় আরিফ। কে জানতো এই ভিসাই জীবনের সব চেয়ে কঠিন দিনের মুখোমুখি করবে তাকে।
আরিফের বাবা গগণ শেখ জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সৌদি এয়ারপোর্টে পৌছায় আরিফ সেখানে তার সাথে থাকা ব্যাগ থেকে বিপুর পরিমাণে ইয়াবাসহ পুলিশ তাকে আটক করে। সেখান থেকে মুঠোফোনে আরিফ তার ভাইকে ফোন দিয়ে বলেন, আমার ব্যাগে ইয়াবা দিয়ে দিয়েছে সালাম চৌকিদারের মেয়ে মৌসুমি। আমি এখন পুলিশের কাছে বন্ধি। ভাই আমাকে বাঁচাও! এরপর থেকে পরিবারের সাথে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি আরিফের। বিচারের জন্য বিভিন্ন যায়গায় ঘুরলেও তেমন কোনো প্রতিকার পায়নি। পরে জানা যায়, শিমুলিয়া এলাকার শপন খালাসির মাধ্যমে স্থানীয়দের মাধ্যমে একটি সমঝোতা হয়। তবে প্রবাসে আরিফের ভবিষ্যত কি হবে এনিয়ে শঙ্কায় রয়েছে আরিফের পরিবার।
আরিফের মা অভিযোগ করেন, তাদের আত্মীয় মৌসুমি আক্তার তার ভাইকে দেয়ার জন্য যে ব্রিটকেস আমার ছেলের সাথে পাঠিয়েছে সেই ব্রিটকেসে ছিলো ইয়াবা। এখন আমার ছেলে জেল খাটছে। আমি যে টাকা দিয়েছি সেখান থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েছে মৌসুমি। কিন্তু আমি আমার ছেলেকে চাই। আমি এর বিচার চাই। তবে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট থেকে এত ইয়াবা কেন শনাক্ত করা গেলনা তা জানা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা চালেচ্ছেন মৌসুমী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে মৌসুমি ও তার বাবার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার বিকেলে মৌসুমির শশুরবাড়ি দুবলী এলাকায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবার বাড়ি শিমুলিয়া গেলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে অনেকটা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন অভিযুক্তরা। এমন ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এছাড়া অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।