নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ এক যুগ ধরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইছামতি নদীর একটি শাখা খালের তীর ঘেঁষা আগলা চৌকিঘাটার একটি ঝোপঝাড়ে স্ত্রী আছিয়া ও মেয়ে স্বপ্নাকে নিয়ে বসবাস করছেন হারুন দম্পতি। নোংরা পরিবেশ, মশা, মাছি ও সাপ বিচ্ছুর ভয়কে সঙ্গী করেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন পরিবারটি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরনো ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে তৈরী করা একটি ডেরার ভিতরে পরিবারটি বসবাস করছেন।
কথা হয় অভাব গ্রস্ত হারুনের সাথে। তিনি বলেন, ভাই আমরা আপনাগো কাছে কিচ্ছু চাই না, আমাগো একটা ঘর দেন। আমরা বাঁচবার চাই। আমি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ করি। প্রধানমন্ত্রী কত মাইনসেগো ঘর দিলো। আমি কোনো চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছ থেইক্যা কিছুই পাইলাম না। উল্টা আমাগো মেম্বারের কাছে ঘর চাইলে আমারে মারতে আসে।
এবিষয়ে কথা হয় হারুনের স্ত্রী আছিয়ার সাথে। তিনি জানান, আমি সরকারে কাছে একটা ঘর চাই। আমার মাইয়াডা বড় হইতাছে। এখন সবচেয়ে মাইয়াডারে নিয়া বেশি ভয়। আমরা যখন কোমরগঞ্জ মাঠে থাকতাম তখন রাতে শিয়ালে আইসা আমার দুই বছরের পোলাডারে নিয়া যায়। ওর দুইটা পা খাইয়া ফালায়। পরে পোলাডা আমার মইরা যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু হারুণ দম্পতির জঙ্গলে বসবাসর ডেরা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, হারুনের বসবাসের অবস্থা দেখে সত্যি আমরা মর্মাহত। আমরা আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ইতিমধ্যে উপজেলার কান্দামাত্রা এলাকায় হারুণের জন্য জমিসহ একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হারুণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমিসহ ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিবো। শুধু তাই নয় আমরা হারুণকে যে কোনো একটি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য মূলধন দিবো। যাতে করে তারা দু’মুঠ ভাত খেতে পারেন। এছাড়া তার মেয়ে সন্তানকে স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো। সেই সাথে হারুণের পরিবারের যত রকম সাহায্য সহায়তা প্রয়োজন আমরা তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবো।